Fake Death Certificate: সম্পত্তি হাতাতে ‘জীবিত’ বৃদ্ধাকে মেরেই ফেললেন প্রতিবেশী!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 13, 2022 | 8:45 AM

Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার ধরমপুর এলাকার ঘটনা। ওই গ্রামে বাস করেন বছর চুয়াত্তরের বৃদ্ধা অন্নপূর্ণা পাঁজা।

Fake Death Certificate: সম্পত্তি হাতাতে জীবিত বৃদ্ধাকে মেরেই ফেললেন প্রতিবেশী!
অন্নপূর্ণা পাঁজা (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: বৃদ্ধার জমি-জায়গা পড়েছিল অনেকদিন ধরেই। আর তাতেই নজর পড়ে পাড়ারই এক ব্যক্তির। অভিযোগ, ওই সম্পত্তি হাতানোর জন্য সোজা তিনি সোজা হাজির হন গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখান থেকে জীবিত ওই বৃদ্ধার ডেথ সার্টিফিকেট বের করেন। তবে প্রশ্ন একটাই যাচাই না করে কীভাবে সার্টিফিকেট বের করে দিল গ্রাম পঞ্চায়েত?

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার ধরমপুর এলাকার ঘটনা। ওই গ্রামে বাস করেন বছর চুয়াত্তরের বৃদ্ধা অন্নপূর্ণা পাঁজা। বয়স জনিত কারণে সামান্য অসুস্থতা থাকলেও, এখনও দিব্যি হেঁটে-চলে বেড়াচ্ছেন তিনি। জানা গিয়েছে, অন্নপূর্ণা দেবী তাঁর স্বামী রাসবিহারী পাঁজা ও তিন ছেলে নিয়ে ধরমপুরে বসবার করেন। তবে বিয়ের আগে তিনি গড়বেতার ফতেগড়ে থাকতেন। সেখানেই তাঁর বাবার রেখে যাওয়া কিছু জমি-জায়গা এখনও বর্তমান রয়েছে। ওই বৃদ্ধারা দুই বোন। একজন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। ফলত, এখন যেটুকু জমি জায়গা পড়ে রয়েছে তা সমস্তটাই অন্নপূর্ণা দেবীর প্রাপ্য। অর্থাৎ ওই সম্পত্তির উত্তরাধিকার এখন শুধু এই বৃদ্ধা।

তবে বৃদ্ধার ছেলেদের অভিযোগ, মায়ের বাপের বাড়ির পড়ে থাকা সম্পত্তি হাতানোর জন্য ফতেগড় গ্রামের এক বাসিন্দা সুদর্শন মল্লিক উঠে পড়ে লেগেছেন। ওই ব্যক্তি ভুয়ো শংসাপত্র বের করে প্রতারণার চেষ্টা করছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, গড়বেতার আমশোল গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তাঁদের মা অন্নপূর্ণা পাঁজার নামে নাকি ডেথ সার্টিফিকেটও বের করেছেন সুদর্শন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে তাঁদের মায়ের নামে ভুয়ো শংসাপত্র বের করে বাপের বাড়ির সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করেছেন।

বেশ কিছুদিন আগে সুদর্শন মল্লিক তাঁদের মায়ের বাপের বাড়ির জমি জায়গা নিজের নামে করার জন্য গড়বেতা ৩ নং ব্লকের বিএলআরও দফতরে জমির রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃদ্ধার কাছে আধিকারিকরা গেলে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন বৃদ্ধার ছেলেরা। মা মারা গিয়েছে শুনে রীতিমত আকাশ থেকে পড়েন তাঁরা।

তবে, ঘটনার বিষয়ে জানতে পারার পরই বৃদ্ধার ছেলেরা সুদর্শন মল্লিকের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেন। তবুও লাভের লাভ কিছু হয়নি। এই বিষয়ে আমশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উমারানি মাল জানান, “জন্ম মৃত্যুর সার্টিফিকেট আমরা দিতে চাই না। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যরা চাপ দেয়। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সদস্যদের কথায় কিছু ক্ষেত্রে দিয়ে দিতে হয়। এক্ষেত্রে যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে আলোচনা করে খতিয়ে দেখতে হবে।” আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সুদর্শন মল্লিক অবশ্য তার ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, “অন্নপূর্ণা পাঁজা সম্পর্কে আমার পিসি হন। উনি বাপের বাড়ির পড়ে জমিকে আগে চাষ করত। কিন্তু টাকার পরিবর্তে জমিটি আমাকে ছেড়ে দেয় বহু বছর আগেই।”

আরও পড়ুন: Fire in Kolkata: প্রায় ১২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ট্যাংরার বিধ্বংসী আগুন!

Next Article