Fire in Kolkata: প্রায় ১২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ট্যাংরার বিধ্বংসী আগুন!
Tangra Fire: সূত্রের খবর, গতকাল সন্ধে ছ'টা থেকে রবিবার সকাল ছ'টা। প্রায় বারো ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবুও মেহের আলি লেনের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
কলকাতা: পুড়ে খাক ট্যাংরার রেকসিনের (Kolkata Fire) গুদাম। মেহের আলি লেনের গুদামে শনিবার সন্ধে আগুন লেগেছিল। সেই আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বেরোচ্ছে সাদা ধোঁয়া। ইতিমধ্যেই ফেটে গিয়েছে গুদামের দেওয়াল। ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দাউ-দাউ করে জ্বলে ওঠে গুদামটি। তারপর ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বেশ কিছু জায়গায়। সংলগ্ন ঘন বস্তি এলাকায় ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় দমকলের ১৫ ইঞ্জিন। জখম হন দু’জন দমকল কর্মী। তাঁদের মধ্যে একজন এসএসকেএম-এ চিকিৎসাধীন। ধোঁয়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশেপাশের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গুদামে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, গতকাল সন্ধে ছ’টা থেকে রবিবার সকাল ছ’টা। প্রায় বারো ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তবুও মেহের আলি লেনের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সকাল পৌনে সাতটা অবধি পাওয়া খবরে অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
কিন্তু কেন নিয়ন্ত্রণে আসেনি? সূত্রের খবর, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একটানা বারো ঘণ্টা প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ার কারণে অনেক ইঞ্জিনই সঠিক স্থানে পৌঁছাতে পারেনি। পাশাপাশি প্রচুর জায়গায় হাইট বেরিয়ার রাখা রয়েছে। সেই কারণে এই রাস্তায় দমকল সরাসরি ঢুকতে পারেনি। কোথাও-কোথাও অন্য রাস্তা বদল করে দমকল কর্মীদের ঢুকতে হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যার এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, “যেহেতু এলাকাটি ঘিঞ্জি, তাই দমকলের যেতে কিছুটা সময় লেগেছে।” অন্যদিকে, রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছিলেন, “আমাদের দফতরে শীর্ষ আধিকারিকদের আমি পাঠিয়েছি। পরিস্থিতির উপর আমার নজর রয়েছে। যেহেতু দাহ্য পদার্থ বেশি রয়েছে সেই কারণে আগুন অনেকক্ষণ থাকবে। তবে যাতে আগুন চারিপাশে ছড়িয়ে না পরে সেই দিকে আমরা নজর রেখেছি।”
বস্তুত, শনিবার কীভাবে এই আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, দমকলকে জানানোর প্রায় দুই ঘণ্টা পরে তারা এসে পৌঁছায় এলাকায়। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।