Fire in Kolkata: আসলে গুদামেই ছিল এমন রাসায়নিক যা আগ্নেয়াস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগে! ট্যাংরার অগ্নিকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য
Kolkata Fire: এই চার রাসায়নিকের মিশ্রণে তৈরি হয় রেক্সিন। যা একবার আগুনের কবলে এসে দ্রুত ছড়ায়, ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে ও ততক্ষণ পর্যন্ত জ্বলে যতক্ষন এই রাসায়নিক উপস্থিত থাকে।
কলকাতা: পুড়ে খাক ট্যাংরার রেক্সিনের গুদাম। মেহের আলি লেনের গুদামে গতকাল সন্ধেয় লাগা আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে রবিবার ভোরে। এখনও জায়গায় জায়গায় রয়েছে পকেট ফায়ার। বিভিন্ন জায়গা থেকে বেরোচ্ছে সাদা ধোঁয়া। ফাটল ধরেছে গুদামের দেওয়ালে। ১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ট্যাংরার অগ্নিকাণ্ড এখনও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নয়। ফায়ার পকেট জ্বলছে। কিন্তু এত চেষ্টার পরেও কেন নিভছে না আগুন? দমকল ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রেক্সিনের মধ্যে থাকা ৪ রাসায়নিকের জন্যই আগুন নিভছে না। কী এই চার রাসায়নিক? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমত, সেলুলোজ নাইট্রেট (লো ইন্টেন্সিটি বিস্ফোরক, যা কিছু ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। দুই ক্যামফর অয়েল। তিন, রজক পদার্থ ও চার অ্যালকোহল।
এই চার রাসায়নিকের মিশ্রণে তৈরি হয় রেক্সিন। যা একবার আগুনের কবলে এসে দ্রুত ছড়ায়, ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে ও ততক্ষণ পর্যন্ত জ্বলে যতক্ষণ এই রাসায়নিক উপস্থিত থাকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও কুলিং প্রসেস চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। দাহ্য পদার্থে ঠাসা থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গুদামটি। তার উপর ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত লাগোয়া কিছু জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
সংলগ্ন ঘন-বসতিপূর্ণ বস্তি এলাকা ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। জখম হয়েছেন ২ দমকলকর্মী। একজন এসএসকেএমে চিকিত্সাধীন। ধোঁয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশপাশের বাসিন্দাদের অনেককেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গুদামের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ।
দমকলকর্মীরা বলছেন, এখন আর আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। চারদিক থেকে কুলিং প্রসেস ছিল। ফায়ারপকেটগুলি বাগে আনার চেষ্টা চলছে। দমকলকর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
আরও পড়ুন: Madhyamik Examination: মাধ্যমিকের প্রশ্ন কি আদৌ ‘কঠিন’? নাকি পড়ুয়াদের অনভ্যাস? কী বলছে শিক্ষক মহল…
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: দিলীপবাবু অসহায়, আমায় খোলাখুলি বলেছেন: জয়প্রকাশ