Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে গত চার বছর ধরে এই সমস্যায় ঝেলছেন সাবানা! আপনার সঙ্গে এটা হচ্ছে না তো?
Lakshmir Bhandar: বেড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবানা খাতুন, স্বামী সেখ আখতার আলি। স্বামী স্ত্রী দুজনের অভিযোগ, ২০২১ সালে প্রথম দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন পত্র জমা দেন। তারপর থেকে তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের কোনও টাকা ঢোকেনি।

ঘাটাল: প্রায় চারবছর ধরে এক মহিলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকছে অন্যর অ্যাকাউন্টে,ঘটনায় শোরগোল চন্দ্রকোণায়! সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মিলছে না সুরাহা এমনই দাবি অভিযোগকারীর। ব্লক প্রশাসন এনিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও,দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। ঘটনা চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মনোহরপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেড়াবেড়িয়া এলাকায়।
বেড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবানা খাতুন, স্বামী সেখ আখতার আলি। স্বামী স্ত্রী দুজনের অভিযোগ, ২০২১ সালে প্রথম দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন পত্র জমা দেন। তারপর থেকে তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের কোনও টাকা ঢোকেনি। তারপরও দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে দফায় দফায় পুনরায় প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জমা করান।দম্পত্তির অভিযোগ, মাসখানেক আগে তারা খোঁজ নিতে শুরু করেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কেন ঢুকছে না।
আর এই খোঁজ নিতে গিয়েই ব্লকের বিডিও অফিসে লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মীর কাছে জানতে পারেন, ২০২১ সালে প্রথম আবেদন করা লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন পত্রই গৃহীত হয়েছে। আর সেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা প্রতিমাসে অন্য এক মহিলার অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। ঘটনা জানতে পেরে ব্লকের বিডিওকে এই সমস্যা সমাধানের লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি সাবানা খাতুন ও তার স্বামী সেখ আখতার আলির। তাঁরা চাইছেন অন্য মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা বন্ধ করে যাতে প্রকল্পের টাকা সাবানা খাতুনই পান।
প্রশাসনের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তুলছে চন্দ্রকোনার এই দম্পতি। তৎকালীন সময়ে কর্মীদের টেকনিক্যাল ভুলের কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে এমনটাই ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে এবিষয়ে চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তিনি কিছু বলতে চাননি।এবিষয়ে চন্দ্রকোণা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মণ্ডল বলেন, “এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই,আমার কাছে আসেনি।তবে ওনারা আমার কাছে আসলে আমি আমাদের দফতরের স্টাফকে ডেকে যে এই ডিপার্টমেন্ট দেখে তাকে দিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধান করে দেব।আমি ওনাদের ডেকে পাঠাবো।”





