Suicide Case: স্বামী যা স্বপ্নেও ভাবেননি, সেটাই করলেন স্ত্রী, তারপরই মর্মান্তিক পরিণতি

Suicide Case: স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে চলে যাওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন ওই যুবক। আর সেই অবসাদের জেরেই তিনি আত্মঘাতী হন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

Suicide Case: স্বামী যা স্বপ্নেও ভাবেননি, সেটাই করলেন স্ত্রী, তারপরই মর্মান্তিক পরিণতি
স্ত্রীর পরকীয়ার জেরেই আত্মঘাতী স্বামী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2022 | 9:36 AM

সবং : বিয়ে করলেও স্বামীকে ভালোবাসতে পারেননি কোনও দিনই। সন্তানের জন্মের পরও পরিস্থিতি বদলায়নি। মন পড়ে থাকত প্রেমিকের কাছে। প্রথমটায় কিছু বোঝা না গেলেও পরে সুযোগ পেয়েই স্বামীকে ছেড়ে পালিয়ে যান স্ত্রী। সঙ্গে নিয়ে যান ছোট্ট মেয়েকেও। আর সেটাই সহ্য করতে পারেননি স্বামী। দিনের পর দিন মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং-এর বাসিন্দা ওই যুবক। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে মানসিক কষ্ট পাচ্ছিলেন মিলন। স্ত্রী যে পালিয়ে যাবেন, তা ভাবতেই পারেননি তিনি। তার জেরেই এই পরিণতি বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার তিন নম্বর অঞ্চলের সিংপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম মিলন কালী। বয়স ২৮ বছর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের গ্রামের মধ্যে একটি হার্ডওয়ার্সের দোকান ছিল। সেই সঙ্গে চাষ আবাদ করে সংসার চালাতেন তিনি। বছর সাতেক আগে খড়গপুর লোকাল থানা এলাকার অঞ্জনার সঙ্গে বিয়ে হয় মিলনের। তাঁদের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে সংসার করলেও বরাবরই অঞ্জনার মন আকৃষ্ট ছিল প্রেমিকের প্রতি। তবে অঞ্জনা যে লুকিয়ে সেই প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তা ধরতেই পারেননি কেউ।

গত জানুয়ারি মাসে ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান অঞ্জনা। পরিবারের দাবি, এই ঘটনা ঘটার পরেই খুবই অপমানিত ও লজ্জিত বোধ করে মিলন। পরিবারের তরফে অনেকবারই অঞ্জনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অঞ্জনা ফিরবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। প্রেমিকের সঙ্গে সুখের সংসার করতে থাকেন তিনি।

গত দু মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকা মিলন অবশেষে রবিবার সন্ধ্যয় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের তরফে মিলনকে প্রথম সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও এবং পরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সোমবার নার্সিংহোমেই মৃত্যু হয় মিলনের।

খবর পেয়ে সবং থানা পুলিশের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সবং থানায় নিয়ে যায়। মঙ্গলবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মানসিক অবসাদে মৃত্যু নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সবং থানার পুলিশ। যদিও মিলনের ভাইয়ের দাবি দাদা অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ ছিলেন, বৌদিকে খুব ভালোবাসতেন। বৌদি যখন যা চাইতেন সবকিছুই এনে দিতেন দাদা। কিন্তু বৌদি যে দাদাকে ঠকিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে তা কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি মিলন।

আরও পড়ুন : Baruipur liquor case: মদের সঙ্গে জল মেশাতেই গলায় শুরু অসহ্য জ্বালা, তিনজনের মৃত্যু বারুইপুরে