Medinipur: ৬ মাস বয়সে বাবা-মা তাকে স্টেশনে ফেলে পালিয়েছিলেন, সেই সঙ্গীতই এখন যাচ্ছে নিউ জার্সি

Medinipur: নিজের ভাষায় রাঁভে যা বললেন,  তার সারমর্ম, "সঙ্গীত আমাদের নতুন বছরের সেরা উপহার। আমাদের দুই কন্যা আছে। একজনের বয়স ৬ বছর। আরেকজনের ৩ বছর। সঙ্গীত ওদের দু'জনের মাঝখানে। আমার দুই মেয়ে ওদের ভাইয়ের জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে আছে।"

Medinipur: ৬ মাস বয়সে বাবা-মা তাকে স্টেশনে ফেলে পালিয়েছিলেন, সেই সঙ্গীতই এখন যাচ্ছে নিউ জার্সি
নিউ জার্সি পাড়ি দিচ্ছে সঙ্গীতImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2025 | 2:27 PM

মেদিনীপুর: জন্মগত ত্রুটি থাকায় ৬ মাসের শিশুকে খড়্গপুর স্টেশনে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল বাবা-মা পরিবারের সদস্যরা! খবর পাওয়ার পর উদ্ধার করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের অধীন শিশু সুরক্ষা দফতর। রাখা হয় জেলা শহর মেদিনীপুরের উপকন্ঠে রাঙামাটি এলাকায় অবস্থিত বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনে। নাম দেওয়া হয় সঙ্গীত। সযত্নে লালন-পালন করে হোম কর্তৃপক্ষ। সঙ্গীতের সমস্ত ধরনের চিকিৎসা করানো হয় হোম কর্তৃপক্ষ তথা শিশু সুরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। জাঁকজমক সহকারে হোমেই হয় তার অন্নপ্রাশন। এখন সঙ্গীতের বয়স প্রায় চার। সম্পূর্ণ সুস্থ সে। তাকে দত্তক নিয়েছেন নিউ জার্সির দম্পতি। পেশায় ব্যবসায়ী যশুয়া লরেন্স ও রাঁভে লরেন্স। সোমবার বিকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন তথা জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে সঙ্গীতকে সরকারিভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে নিউ জার্সির দম্পতি-র হাতে।

নিজের ভাষায় রাঁভে যা বললেন,  তার সারমর্ম, “সঙ্গীত আমাদের নতুন বছরের সেরা উপহার। আমাদের দুই কন্যা আছে। একজনের বয়স ৬ বছর। আরেকজনের ৩ বছর। সঙ্গীত ওদের দু’জনের মাঝখানে। আমার দুই মেয়ে ওদের ভাইয়ের জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে আছে।”

সোমবার বিকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পা হোন্নাইয়া, মৌমিতা সাহা, শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক সন্দীপ দাস প্রমুখের উপস্থিতিতে যশুয়া ও রাঁভে-র হাতে পাসপোর্ট সহ যাবতীয় কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পা হোন্নাইয়া বলেন, “আমাদের এই সরকারি হোম বা বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন থেকে এই নিয়ে ৫৭ শিশুকে দত্তক নিয়েছেন দম্পতিরা। এর মধ্যে সঙ্গীত সহ ৬ জন শিশুকে দত্তক নিয়েছেন বিদেশের দম্পতিরা।”

এদিকে, সঙ্গীতের বিদায় বেলায় কেঁদে ভাসালেন তার ‘পালিতা মা’ অনিমা মাহাত। চোখে জল সোনামণি মাণ্ডিরও। মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনে গত সাড়ে তিন বছর ধরে তাঁদের কাছেই মানুষ হয়েছে ছোট্ট সঙ্গীত। স্বাভাবিকভাবেই সঙ্গীতের বিদায় লগ্নে কান্না ধরে রাখতে পারেননি অনিমা ও সোনামণি!