Medinipur: পৌরপ্রশাসনের নাকের ডগাতেই চলছে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ
Medinipur: ওই এলাকাতে একটি ১৩ ডেসিমল জায়গার উপরে পুকুর রয়েছে সেই পুকুরকে আস্তে আস্তে বুঝিয়ে প্রায় চল্লিশ শতাংশ পুকুর বুঝিয়ে দিয়েছে , এইখানেই থামেনি, সুযোগ যখনই পেয়েছেন পুকুরপাড় বাঁধার নাম করে মাটি ফেলে পুকুর ভরাট করছিলেন ওই জায়গার মালিক সুনীল প্রমাণিক।
মেদিনীপুর: কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকার ঘটনার পরেও ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের। পৌরপ্রশাসনের নাকের ডগাতেই চলছে পুকুর ভরাট, অভিযোগ এরকমই । এবার পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল খড়গপুর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তলজুলি এলাকাতে। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের অন্যতম নেতা রবিশঙ্কর পাণ্ডের স্ত্রী রীতা পাণ্ডে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতে একটি ১৩ ডেসিমল জায়গার উপরে পুকুর রয়েছে সেই পুকুরকে আস্তে আস্তে বুঝিয়ে প্রায় চল্লিশ শতাংশ পুকুর বুঝিয়ে দিয়েছে , এইখানেই থামেনি, সুযোগ যখনই পেয়েছেন পুকুরপাড় বাঁধার নাম করে মাটি ফেলে পুকুর ভরাট করছিলেন ওই জায়গার মালিক সুনীল প্রমাণিক।
সুনীল প্রমাণিক বলছেন, “আমার জায়গা বাউন্ড্রি ওয়াল করে সেইখানে পুকুরপাড় ঘেরা হচ্ছে। ১৩ডেসিমিলের রেকর্ডে থাকা এই পুকুর অর্ধেক অংশ মাটি ফেলে ভরাট করে দিয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর দাস ও মলয় বেরারা পৌরসভাকে অভিযোগ জানিয়েছিল কাউন্সিলর রিতা পাণ্ডেকেও অভিযোগ জানিয়েছিল কিন্তু কেউ কোনও কর্ণপাত করেনি। এরপর পুলিশকেই বলতে পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষমেশ কাজ বন্ধ হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সুযোগ পেলে আবার কাজ শুরু করে দিচ্ছেন ওই অভিযুক্ত সুনীল প্রামাণিক।
খড়গপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং দাপুটে নেতা রবি শঙ্কর পাণ্ডের ওয়ার্ডে এইভাবে পুকুর ভরাট হচ্ছে, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল এসবের সঙ্গে যুক্ত। যদিও খড়গপুর পৌরসভার চেয়ারপারসন কল্যাণী ঘোষ বলছেন, “অভিযোগ পেয়েছি লোক পাঠিয়ে খবর নিয়ে দেখছি কিভাবে পুকুর ভরাট হচ্ছে যদি পুকুর ভরাট হয়ে থাকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”