
মেদিনীপুর: মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছেলে সাগ্নিক পাত্র জয়েন্টে ষষ্ঠ। উচ্ছ্বসিত পরিবার, জেলা! সাগ্নিকের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের আট নম্বর ওয়ার্ড প্রদ্যুৎ নগরে। বাবা প্রভাংশু পাত্র ক্ল্যারিকাল পোস্টে চাকরি করে, অফিস ঝাড়গ্রামের চিচিড়াতে।মা মিতা পাত্র সামান্য গৃহবধূ। স্বাভাবিকভাবে ছেলের এই সাফল্যে আজ তাঁদের চোখে জল! যদিও সাড়ে তিন মাস পর রেজাল্ট বেরোনোয় আগেই সাগ্নিক খড়্গপুর আইআইটিতে বিটেক নিয়ে ভর্তি হয়ে যান।
ইতিমধ্যে খড়্গপুর আইআইটিতে একমাস ক্লাসও করছেন তিনি। তবে এই ফলাফলে খুশি তিনিও। পড়াশোনার পাশাপাশি সাগ্নিক সিনেমা দেখা,খেলাধুলো এবং বই পড়তে ভালোবাসেন। তবে জয়েন্টের উপর তাকিয়ে না থেকে আইআইটি দিকেই ঝুঁকেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল খড়্গপুর আইআইটি-তে পড়াশোনা করা।” কেবল জয়েন্টেই নয়, সাগ্নিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকার করে নজর কেড়েছিল জেলায়।
তবে সাগ্নিকের কথায়, “এই দেরি করে রেজাল্ট বেরানোর জন্য অনেকেই রাজ্যের বাইরে চলে যাচ্ছেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে রাজ্যের ক্ষতি হচ্ছে।” একই মত সাগ্নিকের মায়েরও ।
ওবিসি জটে আটকে ছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল। সুপ্রিম নির্দেশে সেই জট কাটতেই স্বস্তি ফিরেছে পড়ুয়াদের। এই ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অনেকেই। শুক্রবার দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর এবার কাউন্সেলিং-এর অপেক্ষা। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে বোর্ড। মেধাতালিকায় প্রথমে থাকা অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী ভর্তি হয়েছেন খড়্গপুর আইআইটি-তে। দ্বিতীয় সাম্যজ্যোতি বিশ্বাস ভর্তি হয়েছেন বম্বে আইআইটি-তে। তৃতীয় স্থানাধিকারী দিসান্ত বসু আইআইএসসি, বেঙ্গালুরুতে ভর্তি হয়েছেন।