Ghatal TMC Leader: মানসিক চাপে ‘আত্মঘাতী’ হয়েছিলেন প্রতিবেশী, পুরভোটের আগেই ঘাটালে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের কীর্তি ফাঁস!
Ghatal TMC Leader: এরপর এই বছরের ১৮ জানুয়ারি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সুজিত আত্মঘাতী হন বলে দাবি পরিবারের। ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্ত্রী ঘাটাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর: চাকরি দেওয়ার নাম করে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল ঘাটালে তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে। পৌরসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে শুরু রাজনৈতিক তরজা।
ঘাটাল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলা সম্প্রতি ঘাটাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের বয়ান অনুযায়ী, তাঁর ছেলের চাকরির জন্য স্বামী সুজিত মণ্ডল তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সেটি চার বছর আগের ঘটনা। শঙ্কর দোলুই চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি তাঁর ছেলের চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। অভিযোগপত্রে এমনই দাবি করেছেন মহিলা।
,সেই মতো সুজিত ২০১৮ সালে ৮লক্ষ টাকা এবং ২ লক্ষ টাকার দুটি চেক দেন। ওই মহিলার দাবি, টাকা দেওয়ার পর থেকে নানান অছিলায় শঙ্কর দোলুই তাঁদের এড়িয়ে যেতে থাকেন। প্রথমে ‘হচ্ছে হবে দেখছি’ করে বলতেন। পরে চাপ তৈরি হওয়ায় তিনি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগই বন্ধ করে দেন। ফোন ধরা বন্ধ করে দেন। বাড়িতে গেলেও তাঁরা দেখা পাওয়া যেত না। তখন তাঁরা বুঝতে পারেন শঙ্কর দোলুই তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আদৌ কোনও চাকরিই দেবেন না তিনি। টাকা ফেরত চাওয়া হলে শঙ্কর দোলুই নানাভাবে তাঁদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ছেলের চাকরির জন্য শেষ সম্বল সমস্ত কিছু বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলেন সুজিত। সেই টাকা ফেরত না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।
এরপর এই বছরের ১৮ জানুয়ারি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সুজিত আত্মঘাতী হন বলে দাবি পরিবারের। ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্ত্রী ঘাটাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। শঙ্কর দোলুই প্রভাবশালী নেতা বলে এতদিন ভয়ে তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করতে পারেননি। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, শেষে দেওয়া চেকের মাধ্যমে দু লক্ষ টাকা শঙ্কর দোলুই তাঁর জামাই অভিজিৎ মাল তথা রাজু মালের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছিলেন। সেই তদন্তে নেমে ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ রাজু মালকে গ্রেফতার করে। ৮ ফেব্রুয়ারি রাজু মালকে ঘাটাল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পলাতক শঙ্কর দোলুই। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
পুরভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। হাতে অস্ত্র পেয়েছেন স্থানীয় বিরোধী নেতৃত্ব। এই বিষয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “শুধু ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুই নন, পুরো পশ্চিমবাংলায় শাসকদলের সবাই চোর, মহা ডাকাত, তৃণমূল দলটাই পুরো দুর্নীতিগ্রস্ত। তোলাবাজে ভরা। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যাবে শুধু ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক নন, এরকম অনেক নেতারা আছেন, যাঁরা পর পর ধরা পড়বেন।”
জেলা তৃণমূলের নেতা অজিত মাইতি বলেন, “ও সব বাজে কথা, আমরা ওসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। আপাতত নির্বাচনে জোর দিচ্ছি।” এমনকি এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছে সিপিএম-ও।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা