AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

School Education: ৮৩ জন পড়ুয়া, একজন শিক্ষক, দেবের ঘাটালে স্কুলের এ কী হাল!

Primary School Teacher: ওই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরুণ মাল মাঝেমধ্যে স্কুলে গিয়ে অর্ধেন্দু বাবুকে সাহায্য করছেন আপাতত। এই বিষয় নিয়ে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পুতুল চৌধুরী বলেন, "এই অভিযোগটা আমি শুনেছি। এই নিয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম। খুব শীঘ্রই ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হবে।"

School Education: ৮৩ জন পড়ুয়া, একজন শিক্ষক, দেবের ঘাটালে স্কুলের এ কী হাল!
স্কুলের একমাত্র শিক্ষক অর্ধেন্দু পালImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2024 | 4:20 PM
Share

ঘাটাল: স্কুলের ভিতরে ঢুকলে পড়ুয়াদের দেখা মিলবে, কিন্তু শিক্ষক কই? ক্লাসে উঁকি মারলে দেখা যাবে, একজনই শিক্ষক। তিনি পড়াচ্ছেন, মিড ডে মিলের দেখাশোনাও তিনিই করছেন। আর একজন শিক্ষক ছিলেন বটে, তবে তিনি অবসর নেওয়ার পর আপাতত একাই সবটা সামলাচ্ছেন অর্ধেন্দু পাল। ‘সুদিন’ কবে আসবে, তিনি জানেন না। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের মনসুকা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘দীর্ঘগ্রাম শীতলানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র ছবি এমনই। জানা গিয়েছে, আপাতত ওই স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৩। নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস রয়েছে। এমন অবস্থা যে পড়ুয়াদের ওই স্কুলে পাঠাতে অনীহা বাড়ছে অভিভাবকদেরও। এভাবে স্কুল চলে নাকি! তৃণমূল সাংসদ দেবের সংসদীয় কেন্দ্র ঘাটালে এই ইস্যুতে বাড়ছে ক্ষোভ।

পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকলে আগামিদিনে ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল ছেড়ে যেতে হবে, এমনটাই বলছেন অভিভাবকেরা। একজন শিক্ষককে নিয়ে কীভাবে চালানো হবে, উঠছে প্রশ্ন। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে হচ্ছে না পড়াশোনা। থাকছে নিরাপত্তার ঘাটতি। শিক্ষক অর্ধেন্দু পাল জানাচ্ছেন, বারবার শিক্ষা দফতরে জানিয়েও মেলেনি শিক্ষক। সবদিক একসঙ্গে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। শিক্ষক জানিয়েছেন, নার্সারি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব পড়ুয়াকে একটাই কক্ষে বসিয়ে ক্লাস করাতে হয় আর চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা বসে অন্য একটি কক্ষে।

ওই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরুণ মাল মাঝেমধ্যে স্কুলে গিয়ে অর্ধেন্দু বাবুকে সাহায্য করছেন আপাতত। এই বিষয় নিয়ে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পুতুল চৌধুরী বলেন, “এই অভিযোগটা আমি শুনেছি। এই নিয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম। খুব শীঘ্রই ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হবে।”

ওই এলাকার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বহ্নিশিখা দে-ও এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অস্থায়ীভাবে একজন শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।