Paschim Medinipur: হায় রে নার্সিংহোম! ৪০ মিনিটে বিল ১৯ হাজার, পুলিশ আসতেই বিল ঠেকল ৫ হাজারে
Paschim Medinipur: মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতেই বিল দাঁড়াল ৫ হাজারে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ৪০ মিনিটে ১৯ হাজার টাকা নার্সিংহোমের বিল। বিল না মেটালে ছাড়া হবে না মৃতদেহ। গ্রাহ্য করা হবে না স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতেই বিল দাঁড়াল ৫ হাজারে।
জানা গিয়েছে, হুগলি জেলার বন্দর এলাকার বাসিন্দা নিহার বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যরা বুধবার ভোর নাগাদ তাঁকে ভর্তি করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঘাটালের কুশপাতায় একটি নার্সিং হোমে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ভর্তি করার প্রায় ৪০ মিনিট পরেই মৃত্যু হয় নিহারের। আর তখনই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, এই কয়েক মিনিটেই বিল হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার টাকা। দ্রুত সেই বিল মিটিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।
কয়েক মিনিটে নার্সিংহোমের এত বিল দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ পরিবারের সদস্যদের, ঘটনায় দেখা দেয় উত্তেজনা। ভিন জেলার বাসিন্দা হওয়াতে নার্সিংহোমের এই জুলুৃমের কথা জানানো হয় ঘাটাল থানার পুলিশকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামল দেয়।
যদিও মৃতের পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে পাকা বিলের দাবি করলেও, তাঁরা বিলের কাগজ দিতে নারাজ ছিলেন। এমনকি স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নেমে না বলেও দাবি করেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ, অপরদিকে বিলের কাগজ না দিলে বিল মেটাবে না দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ঘাটাল থানার পুলিশ গেলে শেষমেশ পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মৃতের পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়। রোগীর আত্মীয় বলেন, “৪০ মিনিটও পুরো ছিল না। কীভাবে ১৯ হাজার টাকা বিল হল? আমরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখিয়েছিলাম, বলে, না ক্যাশ দিতে হবে। কীভাবে সম্ভব? প্রশাসনকে জানাই আমরা। পরে পুলিশ এসে বললে বলে টাকা দিতে হবে না। পরে পাঁচ হাজার টাকা।” যদিও এ বিষয়ে নার্সিংহোম মালিক অসীম কর্মকার ক্যামেরার সামনে কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি।