ক্ষীরপাই : গড়বেতার ওমর ফারুকের মনে আজ সকাল থেকে আনন্দের সীমা ছিল না। স্ত্রী ও সদ্যোজাতকে আজ হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। বাড়ি নিয়ে আসার কথা ছিল স্ত্রী ও সদ্যোজাতকে। সেই মতো হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনাও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। শিশু ও তার বাবা – মা সহ ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল-ক্ষীরপাই রাজ্য সড়কের ঘুঘুডাঙা এলাকায়। হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওমর ফারুক। ঘাটাল হাসপাতাল থেকে গড়বেতায় ফিরছিলেন তাঁরা। হঠাৎই ঘুঘুডাঙা এলাকায় পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। ঘাটাল-ক্ষীরপাই রাজ্য সড়কের উপর ঘুঘুডাঙ্গা এলাকায় ধান বোঝাই একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওই অ্যাম্বুলেন্সের। ঘটনায় আহত হয়েছে সদ্যোজাত শিশু সহ তার মা ও বাবা ও গাড়ির চালক।
রবিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টায় হাত লাগান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় ক্ষীরপাই ফাঁড়িতে। সেখান থেকে আসা পুলিশকর্মীদের এবং স্থানীয়দের একাংশের তৎপরতায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “অ্যাম্বুলেন্সটি ক্ষীরপাইয়ের দিকে যাচ্ছিল এবং ট্র্যাক্টরটি ঘাটালের দিকে যাচ্ছিল ধান নিয়ে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই অ্যাম্বুলেন্সটিতে চালক সহ পাঁচ জন ছিলেন। সদ্যোজাত শিশু, তার বাবা-মা ছাড়াও আর এক বয়স্ক মহিলা ছিলেন।”
দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটির সামনে অংশ পুরো দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় আরও বড়সড় কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা ছিল। কারও প্রাণহানিও ঘটার আশঙ্কা ছিল, তবে বরাত জোরে বড়সড় বিপদ এড়াতে পেরেছেন তাঁরা। আহত ওমর ফারুক ও তাঁর স্ত্রী, সদ্যোজাত ও গাড়ির চালক বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।