দাসপুর: উৎসবের মেজাজে মেতেছেন জনগণ। এই ঠণ্ডায় কেউ ঘুরতে গিয়েছেন দূরে। কেউ বা আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছেন। তার মধ্য়েই সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরেরা। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে তারাও বেরিয়ে পড়ছে নিজের কাজে। বড়দিনের রাতে দাসপুরে চারটি চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। খোয়া গেল নহদ টাকা থেকে সোনার গহনা সবকিছু।
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দাসপুরে বাসুদেব পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। সেখানে পরপর তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনা প্রকাশ্য়ে এসেছে। যার কারণে এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনা দাসপুর থানার বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীধরপুর গ্রামের। ওই তিন বাড়ির মালিক স্বদেশ মণ্ডল, স্বপন মণ্ডল ও চন্দন মণ্ডল।
এঁদের প্রত্যেকের বক্তব্য, গত রাতে ওই তিনটি বাড়িতেই কোনও লোকজন ছিলেন না। সেই সুযোগেই এই চুরির ঘটনা ঘটে। আজ সকাল হতেই আশপাশের লোকজন দেখেন বাড়ির দরজার লকগুলি ভাঙা। সন্দেহ হতেই বাড়ির মালিকদের ফোনে খবর দিলে তারা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড খোয়া গিয়েছে নগদ টাকা ও গহনা। তবে মোট চুরির পরিমাণ এখনও জানা যাচ্ছে না। এমনকী ওই এলাকার প্রাচীণ তিনশ বছরের এক মন্দিরেরও তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দাসপুর থানার পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছর শীত পড়তেই এলাকায় চুরির ঘটনা বাড়তে থাকে। তাই এই ঘটনা রোধে এলাকাবাসী পুলিশি নজরদারির দাবি তুলছেন। ওই বাড়ির এক গৃহবধূ জানান, “আমি মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন আমার দেওর ফোন করে আমায় বলেন যে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে। ঘরে এসে দেখি আমার আলমারি ভাঙা। সব টাকা চুরি হয়ে গিয়েছে। ব্যাগে এক-দুাজার টাকা ছিল।সেই টাকাও আর নেই। এখন কী করব কিছুই বুঝে উঠতে পারচি না।”
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে বাঁকুড়ার মেজিয়াথানার তারাপুর গ্রামেও একটি চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেজিয়ার তারাপুর গ্রামের পেশায় কাঠ মিস্ত্রী উত্তম নাথের পরিবার গত কয়েকদিন ধরে বাড়ির বাইরে ছিলেন। গতকালই পরিবারের সকলে বাড়িতে ফিরে আসেন। এবার পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, বাইরে থেকে ফিরে এসে গতকাল রাতে বাড়ির সকলে একটি ঘরেই ছিলেন। সেই সময়ই চোর কোনও ভাবে ঢুকে ঘরের সমস্ত জিনিস নিয়ে চলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Amit Shah: ‘জনগণের কল্যাণের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেন মোদী’, সুশাসন দিবসে বার্তা অমিত শাহের