West Medinipur: ঝড়ের গতিতে ছুটছে সরকারি স্টিকার লাগানো ‘অন ডিউটি’ গাড়ি, ভিতর থেকে চিৎকার, কাছে যেতেই গ্রামবাসীর চোখ কপালে
Paschim Medinipur: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ। চালক সহ গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
চন্দ্রকোণা: ঝাঁ চকচকে নীল গাড়ি। তাতে লাগানো অন ডিউটি বোর্ড। সঙ্গে সরকারি স্টিকার মারা। ঝড়ের বেগে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ল সেটি। ভিতর থেকে আসছে চিৎকার। সরকারি স্টিকার লাগান গাড়িকে এইভাবে যেতে দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। সঙ্গে-সঙ্গে তাঁরা ধাওয়া করেন। রীতিমত ঝুঁকি নিয়ে আটকে ফেলে গাড়িটিকে। এদিকে, গ্রামবাসীদের একত্রিত হতে দেখেই চালক সহ ভিতরের এক যাত্রী পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। চালককে ধরে ফেলে তারা। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থানার বৈকুন্ঠপুর গ্রামের ঘটনা। বুধবার দুপুর নাগাদ গ্রামবাসীরা দেখেন সরকারি স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি ছুটছে। আর তার পিছনে দৌড়চ্ছে কয়েকজন মানুষ। তারা চিৎকার করছে। ওদের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা দৌড়ে গিয়ে আটকে ফেলে গাড়িটিকে। পরে গাড়িটি লক করে পালিয়ে যায় চালক সহ গাড়ির ভিতরে থাকা অপরজন। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই গাড়িটি পলাশচাবড়ি থেকে দ্রুত গতিতে বৈকুন্ঠপুরের গ্রামের রাস্তায় ঢুকছিল। আর তার পিছনে ধাওয়া করে আসা আরোহীরা চিৎকার করে বলছিল, খুন করে পালিয়ে এসেছে।
পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয় গাড়িটিকে আটকে। এদিকে যে সকল বাইক আরোহীরা প্রথমে গাড়ির পিছনে ধাওয়া করছিল তারও হঠাৎ পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। চালক সহ গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গাড়ির চালকের নাম শেখ ইশাক। বাড়ি ঝাড়গ্রামের জামবনীতে। গাড়ির চালকের দাবি, সে তার স্ত্রীর ভাই ও স্ত্রীকে ছাড়তে এসেছিল চন্দ্রকোণা থানারই শোলা গ্রামে। ইশাককে নাকি তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল পারিবারিক বিষয়ে কথা বলতে।
কিন্তু কেন তাকে আচমকাই ধাওয়া করা হল?
এই বিষয়ে চালকের দাবি, তাঁকে মারার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মেয়ের বাড়ির কয়েকজন চিৎকার শুরু করে মার্ডার করেছি বলে। সেই কারণে ঘাবড়ে গিয়ে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে আসতে চান তিনি। তখনই পিছনে ধাওয়া করে তারা। প্রাণে বাঁচতেই দ্রুত গতিতে অজানা গ্রামের রাস্তায় ঢুকে পড়ে সে। পাশাপাশি ইশাক দাবি করেন, সরকারি এক আধিকারিকের গাড়ি চালান। ধৃতকে আটক করে আসল তথ্য খোঁজের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।