Kultali Suicide: স্বামীর পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়েছিলেন স্ত্রী, অভিযুক্তর খোঁজ পেয়েই পুলিশ যা করল…

Kultali: মৃত গৃহবধূর নাম বুল্টি মণ্ডল। বছর পঁচিশের আশেপাশে। তাঁর মেয়ে মনিকা মণ্ডল (৯), ছেলে মানস মণ্ডল(৫)।

Kultali Suicide: স্বামীর পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়েছিলেন স্ত্রী, অভিযুক্তর খোঁজ পেয়েই পুলিশ যা করল...
অভিযুক্ত স্বামী, ও বিবাহিত মহিলা ও তাঁর মা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 09, 2022 | 6:04 PM

কুলতলি: প্রায় দশ বছরের সাংসারিক জীবন ছিল ওঁদের। কিন্তু তারপর শুরু হল অশান্তি। কারণ হিসেবে উঠে আসে স্বামীর বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক। ফলে অশান্তি লেগেই থাকত সংসারে। স্ত্রীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে নাকি এই কারণে একাধিকবার মারও খেতে হয়েছে। শেষমেশ এই সকল অশান্তির থেকে মুক্তি পেতে ওই মহিলা বেছে নেন চরম পথ। বাপের বাড়িতেই দুই সন্তান সহ গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হন গৃহবধূ। হাত ধুয়ে তদন্তে নেমেছিল মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ। শেষমেশ গ্রেফতার হলেন স্বামী।

মৃত গৃহবধূর নাম বুল্টি মণ্ডল। বছর পঁচিশের আশেপাশে। তাঁর মেয়ে মনিকা মণ্ডল (৯), ছেলে মানস মণ্ডল(৫)। পয়লাঘেরি গ্রামের বাসিন্দা বুল্টির সঙ্গে প্রায় বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল একই থানা এলাকার বিনোদপুর গ্রামের দীপক মণ্ডলের। দীপক পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। পরে বেঙ্গালুরুতে কাজে চলে যান।

সেখানে কাজ করার সময়ই পাড়ার আর এক বিবাহিত মহিলা মিঠু মণ্ডল সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় তার। মিঠুর কথা পরে জানতে পারেন বুল্টি। যার কারণে সংসারে শুরু হয় অশান্তি। সময় যত গড়িয়েছে সংসারে অশান্তি আরও বেড়েছে। অভিযোগ, একসময় বুল্টির উপর হাতও তোলে দীপক। লাগাতার মারধর করে তাঁকে। স্বামীর হাতে মার খেয়ে শেষমেশ শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে দুই সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন বাপের বাড়িতে। কিন্তু এখানে এসেও শান্তি নেই। ফোনের মধ্যেই লেগে থাকত ঝামেলা। বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, এর আগে তাঁরা একাধিকবার তাঁদের জামাইকে অনুরোধ করেন যাতে তাঁদের সম্পর্ক আবার ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি।

এরপর গত ১৯ তারিখ বুল্টির বাবা বাড়ির সামনেই মাছ ধরতে যান। সেই সময় হঠাৎ তাঁর নজরে আসে ঘরের মধ্যে থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডুলি বের হচ্ছে। সঙ্গে পোড়া গন্ধ। সঙ্গে-সঙ্গে তিনি ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখেন মেয়ে ও নাতি-নাতনীরা দাও-দাও করে জ্বলছে। এরপর হন্তদন্ত হয়ে তিনি খবর দেন প্রতিবেশীদের। বাড়িতে এসে উপস্থিত হন প্রতিবেশীরাও। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। তিনজনেরই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।

স্ত্রী ছেলে-মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত দীপক। কুলতলির পেটকুলচাঁদ এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে সে। অবশেষে মর্মান্তিক এই ঘটনার বাইশ দিন পর মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। বুধবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এর আগে পুলিশ যার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সেই মিঠু মণ্ডল ও তার মা-কে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন: Locket Chatterjee: ‘দলে আরও জয়প্রকাশ আছে, তাঁদের দ্রুত খুঁজে বের করব’, বিস্ফোরক লকেট