Sand Smuggling: টাকার বিনিময়ে বড় ‘ডিল’, বালি পাচারের লিখিত অনুমতি দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, অভিযোগ ঘিরে জোর চর্চা

Sand Smuggling: গ্রামবাসীরা জানতে পারেন, বালি তোলার অনুমতি দিয়েছে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরুণ দোলই। তা আবার অর্থের বিনিময়ে।

Sand Smuggling: টাকার বিনিময়ে বড় 'ডিল', বালি পাচারের লিখিত অনুমতি দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, অভিযোগ ঘিরে জোর চর্চা
বালি পাচারের অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 7:47 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই দেদার চলছে নদী থেকে বালি পাচার। আর অভিযোগ, তাতে নাকি মদত রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের। বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর বালি তোলা বন্ধ থাকলেও, কাঁসাই নদীর বরোবাঁধ কেটে বালি তোলার লিখিত অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই ‘ডিল’ হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল।

মঙ্গলবার রাতে কাঁসাই নদীতে কৃষি কাজের জন্য দেওয়া বরোবাঁধ আটকে এখন রাত পাহারায় গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু কেন? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামদেবপুর গ্রামের কাঁসাই নদীর বরো বাঁধের বালি কেটে পাচার হয়ে যাচ্ছে অন্যত্রে।

কিন্তু হঠাৎ করে কে এই অনুমতি দিল, প্রশ্ন জাগতেই খোঁজখবর লাগান গ্রামবাসীরা। তাই বালি পাচার বন্ধ করতে গ্রামবাসীরা ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত এমনকি ভূমি দফতরের দ্বারস্থ হন লিখিত অভিযোগ নিয়ে। আর সেই অভিযোগের পরেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।

গ্রামবাসীরা জানতে পারেন, বালি তোলার অনুমতি দিয়েছে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অরুণ দোলই। তা আবার অর্থের বিনিময়ে। এতেই শুরু হয়ে গিয়েছে শোরগোল। গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তুলছেন নদী থেকে বালি তোলার বৈধ অনুমতি কি দিতে পারে গ্রাম পঞ্চায়েত?

পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বালি প্রচারের অভিযোগ তুলছে বিরোধীদল থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা সরব। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার রাতে বরোবাঁধ পাহারায় বসে যান এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীদের দাবি তথ্য লোপাটের জন্য রাতের অন্ধকারে এই বরোবাঁধ কাটিয়ে দিতে পারে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

লিখিত অভিযোগ পেয়ে বুধবার বিকেলে তড়িঘড়ি ব্লকের ভূমি দফতরের আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে পাঠান প্রতিনিধিদল। দাসপুর ১ ব্লকের ভূমি দফতরের আধিকারিক কৌশিক সামন্ত মেনেও নেন, বালি অবৈধভাবে কাটা হচ্ছিল। ভূমি দফতর এই বিষয়টি কোনভাবেই কিছু জানত না।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ দোলই বালি চুরির ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “ঝড়া কোদাল নিয়ে গ্রাম বাসীরা বালি কাটলে আমরা কী করতে পারি!”

বালি যে তোলা হচ্ছিল, সেটি ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে নিয়েছেন ব্লকের ভূমি দফতরের আধিকারিক। ইতিমধ্যেই তিনি পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এই নিয়ে বুধবার ব্লক প্রশাসনের কাছে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আছে বলেও তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন।