
ঘাটাল: নদী সংস্কারের পর আরও একধাপ এগোল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। ঘাটাল পৌর এলাকায় তৈরি হবে দু’টি পাম্প হাউস, পাম্প হাউসের জায়গা দেখে দ্রুত কাজ শুরু হবে জানালেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই শিলাবতী নদী ও শোলাটপার খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে ধাপে-ধাপে। বেশ কয়েকটি নদী এবং খাল সংস্কারের কাজ খুব দ্রুতই শুরু হবে।
৫০০ কোটি টাকা রাজ্য বাজেটে বরাদ্দের পর জোর কদমে শুরু হয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের কাজ। রাজ্য সরকার এককভাবে টাকা খরচা করে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ রূপায়ণ করবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৮ সালের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর হবে বলে দাবি প্রশাসনের। সেই মতো এই মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।
সোমবার ঘাটাল পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কৃষ্ণনগর এলাকায় পম্প হাউস তৈরির জায়গা দেখতে যান জেলা ও মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক সহ ঘাটালের মহকুমা শাসক ছিলেন ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলুই।
ঘাটাল পৌরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ড বর্ষায় প্লাবিত হয়ে থাকে। ঘাটাল পৌরসভার ১ থেকে ১২টি ওয়ার্ডকে বাঁচাতে দু’টি পাম্প হাউজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সেচ দফতর। ঘাটাল পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কৃষ্ণনগর এলাকায় এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রীরামপুর এলাকায় দুটি পাম্প হাউজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর জেরে ঘাটাল পৌর এলাকাকে বন্যার হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে। প্রায় ২৫ কোটি টাকা খরচা করে ঘাটাল পৌর এলাকায় দুটি পাম্প হাউস নির্মাণের কাজ হবে বলে খবর। বন্যার কারণে থমকে গিয়েছিল মাস্টার প্ল্যান এর কাজ। পুজো সেচ হতেয় জোর কদমে শুরু হয়েছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়নের কাজ।
সরকারি এক আধিকারিক বলেন, “ঘাটাল শহরে দুটি পাম্প হাউস হবে। BLRO অফিসের কর্মচারিরা আছেন। ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে। এই কাজ শুরু হল আজ থেকে।” উল্লেখ্য, এর আগে ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন কালীপুজোর পর থেকেই শুরু হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। সেই মতোই গত ২৬ অক্টোবর প্রথমে শুরু হয় ‘নো কস্ট’ মডেলের খাল ও নদী সংস্কারের কাজ। আর এবার তৈরি হবে দুটি পাম্প হাউস।