Ghatal Master Plan: পুজোর পর হবে আগেই বলেছিলেন দেব, অবশেষে শুরু হল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ
Ghatal Master Plan: মূলত, কালীপুজোর আগে ঘাটাল টাউন হলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ও সেচ দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। বৈঠক শেষে জানানো হয়েছিল পুজোর পরেই শুরু হবে নদী ও খাল সংস্কারের কাজ।ঠিক সেই মতোই কালীপুজো শেষ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে খাল সংস্কারের কাজ।

ঘাটাল: কবে হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান? এই প্রশ্ন বারেবারে তুলেছেন বিরোধীরা। কেউ আবার বলেছিলেন সবটা ভাঁওতা। এবার বহু প্রতিক্ষিত সেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ হল শুরু। এই প্ল্যানে ‘নো কস্ট’ মডেলের খাল ও নদী সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের শোলাটোপা খাল ও দাসপুর ১ নম্বর ও ঘাটালের শিলাবতী নদী সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী বলেন, “যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের নিয়ে বৈঠক ছিল। ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু। অনেক মাটি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় কাজ চলেছে। তবে দিদি যা কথা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী কাজ হবে।”
মূলত, কালীপুজোর আগে ঘাটাল টাউন হলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ও সেচ দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। বৈঠক শেষে জানানো হয়েছিল পুজোর পরেই শুরু হবে নদী ও খাল সংস্কারের কাজ।ঠিক সেই মতোই কালীপুজো শেষ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে খাল সংস্কারের কাজ।
কোথায়-কোথায় কাজ শুরু হয়েছে?
দাসপুর এক নম্বর ব্লকের মুর্শিদনগর থেকে শুরু হয়েছে শিলাবতী নদীর ২৩ কিলোমিটার খননের কাজ। অপরদিকে, দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের শোলাটপা খালের ১৪.৭ কিলোমিটার খনন শুরু হয়েছে। এক কথায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের নদী খননের কাজ শুরু হল দাসপুর ১ ও ২ ব্লক সহ ঘাটালে। সেচ দফতর জানিয়ে দিয়েছে মোট ৩৬ খাল ও নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ‘নো কস্ট’ মডেলের খাল ও নদী সংস্কারের কাজে সরকারি কোনও টাকা খরচ হচ্ছে না। সেচ দফতর সংস্কারের জন্য যে বিপুল পরিমাণ মাটি খুঁড়ছে, সেই মাটি তাঁরা সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে যে অর্থ পাবে তা দিয়েই এই সংস্কারের কাজ চলবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি তথা ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “ঘাটালবাসীর জন্য সুখবর। অবশেষে শুরু হয়ে গেল খাল খননের কাজ। অন্ধকার খুঁজে বেড়ানো রাজ্য বিজেপির নেতারা এবার কী বলবেন?”
