Dev: ‘প্রয়োজনে আমি তাঁদের বাড়িতে যাব’,স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন দেব
Ghatal master plan: আজ একাধিক কর্মসূচি নিয়ে ঘাটালে আসেন দেব। এদিন, প্রথমে তিনি 'ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে' এসে ঘাটালের শিশু মেলা নিয়ে একটি মিটিং করেন। এখান থেকে শিশু মেলার কমিটি গঠন করা হয়। তারপরে তিনি এসে পৌঁছেছেন ঘাটাল টাউনহলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মনিটরিং কমিটির মিটিংয়ে।

ঘাটাল (পশ্চিম মেদিনীপুর): ঘাটালের সাংসদ তথা সুপারস্টার দেব। তিনি বলছেন দরকারে বাড়ি-বাড়ি যাবেন। কিন্তু কেন? কাদের বাড়িতেই বা যাবেন তিনি? মূলত, আজ অর্থাৎ শনিবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে একটি মিটিংয়ে যোগ দেন। সেখানেই জমি জটের বিষয়টি উঠে আসে। তখনই দেব জানিয়েছেন, যাঁরা জমি দিচ্ছেন না আশঙ্কিত, দরকারে তিনি বাড়ি-বাড়ি যাবেন। বোঝাবেন কেন ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ এতটা জরুরি।
আজ একাধিক কর্মসূচি নিয়ে ঘাটালে আসেন দেব। এদিন, প্রথমে তিনি ‘ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে’ এসে ঘাটালের শিশু মেলা নিয়ে একটি মিটিং করেন। এখান থেকে শিশু মেলার কমিটি গঠন করা হয়। তারপরে তিনি এসে পৌঁছেছেন ঘাটাল টাউনহলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মনিটরিং কমিটির মিটিংয়ে। সাংবাদিকরা তখনই দেবকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের নিয়ে বৈঠক ছিল। ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু। অনেক মাটি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় কাজ চলেছে। তবে দিদি যা কথা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী কাজ হবে।” পরবর্তীতে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, যাঁদের জমি এখনও পাওয়া যায়নি তাঁদের বাড়িতে যাবেন প্রয়োজনে? উত্তরে দেব স্পষ্ট বলেন, “আমি সত্যিই সেখানে যাব। অনেকেই জমি দিয়েছেন এটা সত্যি কথা। যাঁদের মনে হচ্ছে আমার দোকান ভেঙে গেলে রোজগার কীভাবে হবে? এর আগে অনেক বড় প্ল্যানিং ছিল। অনেক জমি লাগত। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে আসার কথা ছিল। তবে আমাদের সরকার বা দিদি কেউই চান না জোর-জবরদস্তি করতে। তাই আমরা যাব। গিয়ে বোঝাব। কেন এই জমি প্রয়োজন। আমার মনে হয় যাঁরা ঘাটালে থাকেন তাঁরা বুঝবেন যন্ত্রণার কথা। আর আমার যাওয়াতে যদি সমস্যার সমাধান হয় আমি প্রস্তুত।” এ দিকে, মাস্টার প্ল্যানকে আগেই বিরোধীরা ‘ভাওঁতা’ বলে দাগিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রের সহায়তা ছাড়া এই প্ল্যান যে বাস্তবায়িত হবে না সে কথাও বারেবারে বলে তারা। আজ এই নিয়েই উত্তর দেন দেব। বলেন, “বিরোধীরা আক্রমণ না করলে তাঁরাও বিরোধী দলে থাকতে পারবে না। তাঁরা ভুল নয়। ঘাটালের মানুষ জানে সব। যাঁরা এখানে থাকে না তাঁরা ভাবেন সব ভাঁওতা। এখানকার মানুষ জানেন যে মাস্টার প্ল্যানের কাজ কত দ্রুত গতিতে চলছে। যেদিন এই কাজ শেষ হবে সেইদি তাঁদেরও ডাকা হবে।”
