‘Unknown’ বলে কিছু থাকবে না আর, অচেনা নম্বর থেকে ফোন করলে স্ক্রিনে ফুটে উঠবে নাম!
Incoming Calls: এটি ডিফল্ট হিসাবে অন থাকবে, তবে কেউ চাইলে ফোনে নাম দেখার বিষয়টি বন্ধ করে দিতে পারেন। অর্থাৎ যিনি ফোন পাবেন, তিনি এই সেটিং বন্ধ করতে পারবেন। অন্যদিকে যিনি ফোন করছেন, তিনি চাইলেও নিজের নাম গোপন করার অপশন পাবেন না।

নয়া দিল্লি: যতই অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসুক না কেন, ফোন রিসিভ করার আগেই জেনে যাবেন ওপ্রান্ত থেকে কে আপনাকে ফোন করছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই নিয়ম চালু হতে পারে। সূত্রের খবর, টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের তরফে দেশের টেলিকম অপারেটরদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হবে ইনকামিং কল নিয়ে। কী সেই নির্দেশ?
ভারতীয় কোনও নম্বর থেকে ফোন এলেই কেওয়াইসি রেজিস্টার করা নাম ফুটে উঠবে ডিসপ্লেতে। অর্থাৎ অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলেও, কে ফোন করছেন তা জানতে পারবেন আপনি। এর জন্য আলাদা করে ট্রু-কলারের মতো কোনও অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে না। বর্তমানে হরিয়ানায় এর ট্রায়ালও শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ফিচারটির নাম কলার নেম প্রেজেনটেশন। রিলায়েন্স জিয়ো বা এয়ারটেল প্রতারণামূলক বা সন্দেহজনক কোনও ফোন এলে যেমন ফ্ল্যাগ অ্যালার্ট দেয়, একই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগও। সরাসরি নম্বরটি যে নামে রেজিস্টার থাকবে অর্থাৎ কেওয়াইসি-তে যে নাম থাকবে, তা কলার আইডি হিসাবে দেখাবে।
এটি ডিফল্ট হিসাবে অন থাকবে, তবে কেউ চাইলে ফোনে নাম দেখার বিষয়টি বন্ধ করে দিতে পারেন। অর্থাৎ যিনি ফোন পাবেন, তিনি এই সেটিং বন্ধ করতে পারবেন। অন্যদিকে যিনি ফোন করছেন, তিনি চাইলেও নিজের নাম গোপন করার অপশন পাবেন না। কেবল মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরাই এই সুবিধা পেতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সাল থেকেই প্রতারণা ও স্প্য়াম কল রুখতে এই আইডি ব্যবহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সময়ে একাধিক সংগঠন ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তার দাবি তুলে এই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছিল। ২০২৪ সালে ট্রাই (TRAI) এই দাবি খার্জ করে দেয়। কাতার সহ একাধিক দেশে ইতিমধ্য়েই এই নিয়ম রয়েছে, তবে তা কর্পোরেট ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। টেলিকম বিভাগ (DoT) ও টেলিকম রেগুলেটরি অথারিটি অব ইন্ডিয়া (TRAI) জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ প্রতারণা ও স্প্য়াম কল আরও কমিয়ে দেবে কারণ ফোন করলেই স্ক্রিনে ফুটে আসবে যে কে ফোন করছেন। তখন মিথ্যা কথা বলা কঠিন হবে।
ট্রু কলারে যেখানে ফোন না করেই, মোবাইল নম্বরের রেজিস্টার করা মালিকের নাম দেখায়, টেলিকম বিভাগের এই ফিচারে শুধু ফোন করলেই নাম ভেসে উঠবে। কলার লাইন আইডেন্টিফিকেশন রেস্ট্রিকশন ইতিমধ্যেই দেশে রয়েছে। এর সুবিধা পান কেবল দেশের মন্ত্রী, সরকারি আধিকারিক, রাষ্ট্রপতি ও গোয়েন্দারা।
