পশ্চিম মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সমেত ফেসটুন ছিঁড়ে ফেলেছিলেন এক সিপিআই(এম) কর্মী। পরে তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়ে কান ধরে ক্ষমা চাইলেন তিনি। ‘মদ্যপ অবস্থায় ভুল করে ফেলেছি।’ অকপট স্বীকারোক্তিও দিলেন ওই ব্যক্তি। তবে সিপিআই(এম) যোগের সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
১লা জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে সামনে রেখে দাসপুর দু’ নম্বর ব্লকের ফতেপুর এলাকায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে তৃণমূলের কংগ্রেস। সেই শিবিরের প্রচারে দাসপুরের খেপুত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার পোস্টার ফেস্টুন লাগিয়েছে তারা।
এরপর, রবিবার রাতের অন্ধকারে সেই ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। সোমবার সকালেই একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় জাকির হোসেনকে। এরপর অভিযুক্তকে রীতিমতো শাসাতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। এমনকী তাঁকে নিয়ে আসা হয় পার্টি অফিসেও। পার্টি অফিসে এসে রীতিমতো হাতজোড় করে কান ধরে ক্ষমা চাইতে দেখা যায় জাকিরকে।
তিনি বলেন, “আমার বাড়ির মাটি ক্রমশ খুলে-খুলে পড়ে যাচ্ছিল। আমি তৃণমূল পার্টি অফিসে এসে অনেকবার বলি। ওরা আজ দেখতে যাবে কাল দেখতে যাবে করে আর যায়নি। এবার এই বৃষ্টিতে মাটি খুলে পড়ে যাওয়ায় আমি বাড়ি নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে যাই। সেদিন রাতেই আমি একটু মদ্যপান করি। তারপর রাগ করে এই কাজ করি। তবে আমি তৃণমূল করি। সিপিআই(এম) করি না।”
জানা গিয়েছে জাকির হোসেন এলাকায় দীর্ঘদিন সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত। যদিও ঘটনার পর সিপিএম যোগের কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। উল্টে ক্যামেরার সামনে তা স্বীকারোক্তি, রবিবার রাতের অন্ধকারে মদ্যপ অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে গেয়েছে। এমন ঘটনা আর ভবিষ্যতে ঘটাবে না। ঘটনাকে ঘিরে দাসপুর এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূলের দাবি,এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে সিপিআই(এম) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও শাসকদলের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে সিপিএম নেতৃত্ব। তাদের পাল্টা দাবি, এ ঘটনার সাথে সিপিএমের কোনও যোগ নেই। এ ধরনের নোংরা রাজনীতিতে সিপিএম বিশ্বাসী নয় বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় বাম নেতারা শোয়েব আহমেদ। ঘটনার পর রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অবিলম্বে দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানিয়েছে শাসক দলের নেতাকর্মীরা।