TMC Group Clash: গোষ্ঠী কোন্দলের জের, নিজের দলেরই কার্যলয় ভাঙচুর তৃণমূল কর্মীদের!
Paschim Medinipur: গতকাল রাতে ওই এলাকায় শতাধিক বোমা ফাটায় একদল দুষ্কৃতী। যদিও, ঘটনায় যারা জড়িত তারা কেউই তৃণমূল কর্মী নয় বলে জানিয়েছেন জেলার সাংগঠিনক সভাপতি।
পশ্চিম মেদিনীপুর: জেলায়-জেলায় অব্যাহত শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। বছর শেষে ফের সেই একই খবর। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার অন্তর্গত খড়্কুশমা গ্রামে গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জারি রয়েছে। যার কারণে এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। দুপক্ষের সংঘর্ষের জেরে ভাঙচুর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে ওই এলাকায় শতাধিক বোমা ফাটায় একদল দুষ্কৃতী। গ্রামেরই একদল তৃণমূল কর্মী সমর্থক এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র তৃণমূলের ওই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে খবর। ঘটনায় দুই থেকে তিন জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সকাল থেকেই চলছে পুলিশি টহল।
পাশাপাশি শুক্রবার এলাকা থেকে বেশকিছু বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার। তিনি জানান, যাঁরা প্রকৃত তৃণমূল কর্মী তাঁরা দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালাবে না। এটা দুষ্কৃতিদের কাজ। পুলিশকে বলা হয়েছে, যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ” এইগুলো পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিবাদ। আমি আগেও বলেছি এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগাযোগ নেই। যারা তৃণমূল কংগ্রেসের আদর্শে অনুপ্রাণিত, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দল করে তারা কোনওদিনও নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করবে না। এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। তাই গতকাল রাতে খবর আসার পরই আমি পুলিশকে বলে দিয়েছি কোনও নেতা, কোনও কর্মী ফোন করলেও কারোর ফোন না ধরে যারা-যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। সেক্ষেত্রে আমাদের দলের পক্ষ থকে কোনও কিছু বলার থাকবে না। কারণ আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি যারা এই আচরণ করছে তারা কেউ তৃণমূল কর্মী নয়। তাদের কারোর পারিবারিক বিবাদ রয়েছে। কারোর জমি সংক্রান্ত বিবাদ আছে। সেই বিবাদকেই পার্টির নামে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ”
আরও পড়ুন: IPS Promotion: রাজীব কুমার সহ একাধিক আইপিএসের পদোন্নতি রাজ্যে, কে কোন পদে, একনজরে