Paschim Medinipur: তৃণমূলের কার্যালয় কার? একই দরজায় পড়ল পরপর দুটো তালা
Chandrakona: দুই নেতার গন্ডগোলের জেরে অঞ্চল কার্যালয়ে যাননি অঞ্চল সভাপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কল্লা বুথে জয় লাভ করেন নির্দল প্রার্থী। আর নির্দল জয়লাভের পরেই, কল্লা বুথে দলীয় কার্যালয়ে একটি তালা দিয়ে দেন নির্দলের জয়ী প্রার্থীরা

মেদিনীপুর: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় কার দখলে থাকবে? পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে নির্দলের টিকিটে জয়ী কর্মীদের না তৃণমূল কর্মীদের। তা নিয়েই তৃণমূল অন্দরে জলঘোলা। কার্যালয়ে পড়ল দু’টি তালা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার দু’নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্লা বুথ এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের দ্বন্দ্ব অব্যহত।
জানা গিয়েছে, ২০২৩এ পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বন্টন নিয়ে ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই নেতার মধ্যে দেখা দিয়েছিল বিরোধ। একদিকে অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, অপরদিকে অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি ইসমাইল খান, যিনি ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান।
দুই নেতার গন্ডগোলের জেরে অঞ্চল কার্যালয়ে যাননি অঞ্চল সভাপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কল্লা বুথে জয় লাভ করেন নির্দল প্রার্থী। আর নির্দল জয়লাভের পরেই, কল্লা বুথে দলীয় কার্যালয়ে একটি তালা দিয়ে দেন নির্দলের জয়ী প্রার্থীরা। বর্তমানে দলীয় কার্যালয়ে দু’টি তালা পড়েছে। একটি তালা তৃণমূল কর্মীদের, একটি তালা নির্দলের।
তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, নির্দল কর্মী সমর্থকদের মদত দিচ্ছে অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি ইসমাইল খান। তাঁর মদতেই হচ্ছে এইসব। এমনই অভিযোগ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের অনুগামীদের।
পাল্টা রামকৃষ্ণ ও তাঁর অনুগামীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ইসমাইল খান। কোল্লা বুথে বুাথ কার্যালয় ও খুড়শি বুথ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়, এবং ভগবন্তপুরে থাকা অঞ্চল তৃণমূল কার্যালয় তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে।
এনিয়ে অবশ্য একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে অঞ্চল সভাপতি ও সহ সভাপতি। অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটে কোল্লা ও খুড়শি এই দুই বুথে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে আম চিহ্নে নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে গ্রাম পঞ্চায়েত আসেন, এবং দুটিতেই নির্দলরা জয়ী হয়।” আর তাঁদের মদত দেওয়ার অভিযোগের আঙুল অঞ্চলের সহ সভাপতি ইসমাইল খানের বিরুদ্ধে।
কল্লায় জয়ী নির্দল প্রার্থীর বাবা ফারুক খাঁনের অবশ্য দাবি, “দলের থেকে টিকিট না পেয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আমরা যেহেতু জিতেছি, তাই দলীয় কার্যালয় আমারাই চালাবো।আমরা তৃণমূল ছিলাম আছি আর থাকবো।” এই নিয়ে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।





