West Medinipur: সরকারি প্রকল্পের টাকা কেন এল না এখনও! এই বলে পঞ্চায়েত কর্মীর গলা টিপে ধরলেন তৃণমূল নেতা
West Medinipur: সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত কর্মীর। বিজেপির দাবি, এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর : পঞ্চায়েতের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ইতিমধ্যে থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, রাধামোহনপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী পল্টন মাইতিকে মারধর করেন ওই অঞ্চলেরই তৃণমূল নেতা অনুপম দাস। তিনি ওই অঞ্চলের কন্ট্রাকটর শুভব্রত দাসের বাবা বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত কর্মী।
অনুপম দাস তৃণমূলের ডেবরা ব্লকের প্রাক্তন সহ-সভাপতি। পাশাপাশি তিনি অঞ্চলের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, এই কর্মীর গলা টিপে ধরে রাখা হয়েছিল। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই কর্মী। ঘটনার সূত্রপাত এমজিএনআরজিএস প্রকল্পের কাজের টাকার হিসাব নিকাশ নিয়েই। অভিযোগকারী পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী পল্টন মাইতি জানিয়েছেন, সরকারি ওই প্রকল্পের টাকা তাঁরা এখনও কেন পাননি এই অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতের ওই কর্মীর উপর চড়াও হন ওই তৃণমূল নেতা। পঞ্চায়েতের অন্যান্য কর্মীরা কোনও ক্রমে উদ্ধার করেন ওই কর্মীকে। তৃণমূল কর্মীর হাত থেকে পঞ্চায়েত কর্মীকে বাঁচান তাঁরা।
আহত অবস্থায় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভর্তি করা হয় ওই পঞ্চায়েত কর্মী পল্টন মাইতিকে। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর কিছু পরামর্শ দিয়ের ডাক্তাররা তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেন। অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই রয়েছেন তিনি।
পল্টন মাইতির অভিযোগ এর আগেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বারবার পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিভিন্ন কর্মীকে মারধরের হুমকিও দিয়েছেন। বারে বারে এ ধরনের ঘটনা ঘটায় শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন পঞ্চায়েতের কর্মী। পুলিশ বা প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেন, তারই অপেক্ষা করছেন ওই তৃণমূল নেতা। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে ডেবরাতে ।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাধাকান্ত মাইতির বক্তব্য, যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনিকভাবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশাসন নেবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ দিকে বিজেপির দাবি, ডেবরায় এই ঘটনা নতুন নয়। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার নেতা কাশীনাথ বোস বলেন, তৃণমূল এলাকাকে বিরোধী শূন্য করে দেওয়ার চেষ্টা করছে সর্বোতভাবে। যে ভাবে পঞ্চায়েত কর্মীকে আক্রমণ করা হয়েছে, তা নতুন কিছু নয়। তৃণমূল নেতারা কী ভাবে কমিশন নিচ্ছে, কাটমানি নিচ্ছে, এই ঘটনা তারই প্রতিফলন। বিজেপি নেতার আরও দাবি, প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ না করে টাকা কামানোর কারবার চলছে। তিনি জানান, যাঁরাই সততার সঙ্গে কাজ করছেন, তাঁদের ওপরই আক্রমণ হচ্ছে। এই চরম আঘাতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : Municipality Election Security Meeting: দুয়ারে চার পুরসভার নির্বাচন, নিরাপত্তা নিয়ে আজ বৈঠকে কমিশন