Ghatal: ‘আমরা তো অনুব্রত হতে পারবনি’, পুলিশ ধাক্কা দিতেই বলে উঠলেন বনধ সমর্থনকারী

Ghatal: বনধ সমর্থনকারীদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে এক পুলিশ অফিসারকে বলতে শোনা যায়, 'নেতাগিরি অন্য জায়গায়।' এক বনধ সমর্থনকারী পুলিশকে বলেন, "আপনি লাঠি চালাচ্ছেন কেন?" জবাবে পুলিশকর্মী বলেন, "কোথায় লাঠি চালিয়েছি?" বনধ সমর্থনকারীদের উপর পুলিশ গুন্ডাগিরি দেখাচ্ছে বলেও সরব হন কেউ কেউ। তখন এক পুলিশকর্মী বলেন, "কী গুন্ডাগিরি। হাত জোড় করে বলছি।"

Ghatal: আমরা তো অনুব্রত হতে পারবনি, পুলিশ ধাক্কা দিতেই বলে উঠলেন বনধ সমর্থনকারী
পুলিশকে খোঁচা বনধ সমর্থনকারীদেরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 09, 2025 | 9:08 AM

ঘাটাল: ভারত বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন। পথ অবরোধ করতেই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু। রাস্তা থেকে ঠেলে বনধ সমর্থনকারীদের সরাতে শুরু করে পুলিশ। আর তখনই পুলিশকে খোঁচা দিতে গিয়ে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ টেনে আনলেন বনধ সমর্থনকারীরা। পুলিশের উদ্দেশে বনধ সমর্থনকারী বলে উঠলেন, ‘আমরা তো অনুব্রত মণ্ডল হতে পারবনি।’

ভারত বনধের সমর্থনে বুধবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে রাস্তায় নামেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। ঘাটালের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পথে নামে পুলিশও। বনধ সমর্থনকারীদের ঠেলে সরিয়ে দিতে দেখা যায়। তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসা বাসে বনধ সমর্থনকারীদের।

বনধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে বচসা পুলিশের

বনধ সমর্থনকারীদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে এক পুলিশ অফিসারকে বলতে শোনা যায়, ‘নেতাগিরি অন্য জায়গায়।’ এক বনধ সমর্থনকারী পুলিশকে বলেন, “আপনি লাঠি চালাচ্ছেন কেন?” জবাবে পুলিশকর্মী বলেন, “কোথায় লাঠি চালিয়েছি?” বনধ সমর্থনকারীদের উপর পুলিশ গুন্ডাগিরি দেখাচ্ছে বলেও সরব হন কেউ কেউ। তখন এক পুলিশকর্মী বলেন, “কী গুন্ডাগিরি। হাত জোড় করে বলছি।”

সেইসময়ই এক বনধ সমর্থনকারী পুলিশের উদ্দেশে বলেন, “আমরা তো অনুব্রত হতে পারবনি। আমরা অনুব্রত নই। বুঝতে পেরেছেন।” পুলিশ অবশ্য তাঁর এই মন্তব্যের কোনও জবাব দেয়নি। বনধ সমর্থনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

অনুব্রত মণ্ডলের খোঁচা কেন দিলেন ওই বনধ সমর্থনকারী? মাস দেড়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেখানে শোনা যায়, নিজেকে অনুব্রত মণ্ডল বলে পরিচয় দিয়ে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন এক ব্যক্তি। ওই অফিসারের স্ত্রী ও মা সম্পর্কেও নোংরা কথা বলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হয়। দলের কাছে চিঠি লিখে ক্ষমা চান তৃণমূলের বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত। সাংবাদিক বৈঠক করেও ক্ষমা চান। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হলেও এখনও কড়া পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এবার সেই অনুব্রতর অডিয়োর প্রসঙ্গ টেনেই পুলিশকে খোঁচা দিলেন বনধ সমর্থনকারী।