‘দিদি বিদায় নিলে বাংলা থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াও দূর হবে’, ঝাড়গ্রামে শেষবেলার প্রচারে বেনজির আক্রমণ শাহর

ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) ঝাড়গ্রামে (Jhargram) নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বেনজির আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

'দিদি বিদায় নিলে বাংলা থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াও দূর হবে', ঝাড়গ্রামে শেষবেলার প্রচারে বেনজির আক্রমণ শাহর
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 26, 2021 | 12:03 PM

ঝাড়গ্রাম: “দিদি বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত বাংলা ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গু মুক্ত হবে না।” ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) ঝাড়গ্রামে (Jhargram) নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বেনজির আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

শাহ বললেন, “দিদি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার বন্ধু। দিদি এখান থেকে বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত বাংলা থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াও বিদায় নেবে না।” এরপরই শাহ বলেন, “বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ক্ষমতায় আসার দু’বছরের মধ্যেই বাংলা থেকে বিদায় নেবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু।”

আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সুখময় শতপথীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে শাহ এক গুচ্ছ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। সঙ্গে মমতা-অভিষেককেও এক হাত নেন তিনি। তবে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে মূলত জল সমস্যা ও মশাবাহিত রোগকেই ইস্যু করে তোলেন শাহ। উল্লেখ করেন, বাংলার বর্ষার শুরু থেকেই দুটি রোগ মারাত্মক আকার নেয়। কোনও কোনও বছরে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার তথ্য গোপন করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে না আনায় অনেকেরই ঠিক চিকিৎসা হয় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে ঠিক এই বিষয়গুলিই তুলে ধরেন শাহ। অমিত শাহ বলেন, “খেলা হবে বলে দিদি নিরীহ আদিবাসীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু ছোট বাচ্চারাও ফুটবল খেলে। তাই খেলা হবে স্লোগানে কেউ ভয় পায় না। ”

শনিবার ঝাড়গ্রামে ভোট। তার আগে শেষ বারের প্রচারে এসে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধতে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দেন শাহ। বাংলার মাটিতে বিজেপির উত্থানে ঝাড়গ্রামের ভূমিকা রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে সাত বিধানসভার আসনে নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম, গড়বেতা, বান্দোয়ানে জয় হয় বিজেপির। তৃণমূলের দখলে ছিল কেবল শালবনি ও বিনপুর। এখানে বড় ফ্যাক্টর আদিবাসী ভোট। মাহাতো ১৫.৬ শতাংশ, তফসিলি উপজাতি – ২৩.১ শতাংশ ও তফসিলি জাতি – ১৮.৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ভোটের আগের দিনই শালবনিতে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, থমথমে গ্রাম

তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত কেন্দ্র পাখির চোখ বিজেপির। তাই নির্বাচনের আগে পর্যন্তও চলেছে হাইভোল্টেজ প্রচার, হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীদের যাতায়াত। লাগাতার সভা করেছে অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, জেপি নাড্ডা।