AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata Banerjee: ‘আগে দিনে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হত’, শালবনিতে বামেদের খোঁচা মমতার

Mamata Banerjee: বাম আমলের সমালোচনা করে মমতা বলেন, "বাম আমলে সবাই বলতেন, লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না। এখন ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। সপ্তাহে ৭ দিন এই ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে আমরা ৭৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি।"

| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2025 | 3:58 PM
Share

শালবনি: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটের জন্য ১৬ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করছে জিন্দল গোষ্ঠী। সোমবার তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, শুধু এই প্রকল্পে সবমিলিয়ে ১৫ হাজার মানুষের কাজ হবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে ২৩টি জেলার মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। আমার বিদ্যুৎ কিনব। ওদের পরিকল্পনা রয়েছে আরও দুটি ইউনিট খোলার।”

বাম আমলের সমালোচনা করে মমতা বলেন, “বাম আমলে সবাই বলতেন, লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না। এখন ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। সপ্তাহে ৭ দিন এই ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিতে গিয়ে আমরা ৭৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার নতুন লাইন করা হয়েছে। ৭৫০টির বেশি সাবস্টেশন করা হয়েছে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত। এখন সেটা ১০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য তা ১৮ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যাওয়া। বাংলার আরও বিদ্যুৎ দরকার।”

নতুন প্রজন্মের কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, “আমরা চাই না নতুন প্রজন্ম কোনও সমস্যার মুখে পড়ুক। তাদের জন্য উন্নয়নের কাজ করতে হবে। আরও ৪৮ হাজার কোটি টাকা আমরা খরচ করব।” এদিন বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে কয়লা উত্তোলনের কথাও বলেন মমতা। তিনি জানান, দেউচা পাচামিতে এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

বিরোধীদের আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকে বলেন, বাংলায় তো কিছু হয় না। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ১৯ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাব এসেছিল। তার মধ্যে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। আমরা বলি না, আমরা করে দেখাই।”