মেদিনীপুর: হুগলির মেয়ে। মামার বাড়ি ঘাটালে এনে বিয়ে দিচ্ছিল বাড়ির লোকজন। খবর পেয়েই শুক্রবার রাতে হানা দেয় পুলিশ। এদিকে বিয়ে বন্ধ করতে পুলিশ এসেছে শুনেই নাবালিকা নিয়ে পালিয়ে যান মা-বাবা। কিন্তু ফেঁসে যান পাত্রীর দাদু ও মেসোমশাই। দু’জনকেই আটক করে ঘাটাল থানার পুলিশ। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ ঘাটাল থানার পুলিশ চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই গ্রামে যান। সঙ্গে ছিলেন ঘাটাল ব্লক শিশু সুরক্ষা কমিটি ও গ্রামপঞ্চায়েত পর্যায়ের কমিটির সদস্যরা। তারাই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। কেন এভাবে নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। যদিও পুলিশ আসছে খবর পেয়ে ততক্ষণে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান পাত্রীর বাবা ও মা। যদিও পুলিশ মেয়ের মামারবাড়ি থেকে দাদু ও মেসোমশাইকে আটক করে।
সম্প্রতি নাবালিকাদের বিয়ে রুখতে অতি তৎপর হয়েছে জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট। ইতিমধ্যেই ব্লকস্তর থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কমিটিও গঠন হয়ে গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে চলছে সচেতনতা শিবির। মাইকিংয়ে নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে। বারবার বলা হচ্ছে কোনওভাবেই যেন ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে না দেওয়া হয়। তারপরও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে পরিবারের মধ্যে।
যদিও মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “বাল্যবিবাহ এখন তাও অনেকটাই কমেছে। রূপশ্রী, কন্যাশ্রী চালু হওয়ার পর অনেকটাই কমেছে। বাকি যখনই আমরা কোথাও খবর পাই, সঙ্গে সঙ্গে যাই। তবে দু’ তিনদিন আগে থেকে খবর পেলে সুবিধা হয় বিয়েটা রুখতে। এরকম বহু বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার যেমন বিয়ের আসরে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। প্রশাসন সবসময় তৎপর। আমার ফোন নম্বর সকলকেই দেওয়া আছে। পুলিশের ফোন নম্বরও আছে। খবর পেলেই আমরা পৌঁছে যাব।”
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: আজই বগটুইয়ে যাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশেষ দল, তথ্য বুঝে নেবে সিটের থেকে