Electrocution: মাঠের মাঝে বসে বাবা, ছেলে গিয়ে হাত ছোঁয়াতেই মুহূর্তে সব শেষ…
Medinipur: একইসঙ্গে এলাকার লোকজনের অভিযোগ, প্রায় ২০ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মেদিনীপুর: মর্মান্তিক পরিণতি বাবা ও ছেলের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দু’জনের। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দাঁতন (Datan) বিধানসভার মোহনপুরের ধৌরজামুয়া এলাকায়। নিহতদের নাম দুলালচন্দ্র কর ও বিষ্ণুপদ কর। মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন দুলাল। সন্ধ্যা নামলেও বাড়ি না ফেরায় খুঁজতে যান ছেলে বিষ্ণুপদ। এরপর সেই মাঠ থেকে উদ্ধার করে আনা হয় বাবা, ছেলের নিথর দেহ। ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকার লোকজন।
একইসঙ্গে এলাকার লোকজনের অভিযোগ, প্রায় ২০ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাঠের মাঝখান দিয়ে বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজ তার গিয়েছে। সেই তারের তড়িদাহত হন বাবা ও ছেলে। বিদ্যুৎ দফতরকে বারবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে এলাকাবাসীর দাবি। শনিবার সকালে বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন এলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নিহতের ভাই অমিত কর বলেন, “আমার দাদা জমিতে এসেছিল। কিন্তু অনেকক্ষণ কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। এরপরই ওর ছেলে বাবার খোঁজ নিতে বেরোয়। এসে দেখে বাবা জমিতে বসে আছে। ও হয়ত ভাবতেই পারেনি বাবা ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে। ছেলে বাবাকে ঠেলতেই ছেলেরও শক লাগে। আমরা ছুটে এসে দেখি ছেলে বাবা দু’পাশে দু’জন পড়ে আছে। এরপরই লোকজনকে ডাকি। কিন্তু বিদ্যুতের অফিসে যোগাযোগ করলেও ওরা কিছু করেনি। বলছে একে ফোন করো ওকে ফোন করো। এরপরই থানায় ফোন করি। পুলিশের হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তারপর উদ্ধার করা হয়। এটা কারেন্ট অফিসের গাফিলতি। ওরা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই তো এই অবস্থা। বারবার ফোন করলাম। কেন কিছু করল না।”
যদিও বেলদার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার প্রকাশ জানা বলেন, “গাফিলতি বলছেন। কিন্তু আমাদের সাবস্টেশনে যে ফোন আছে সেখানে এরকম কোনও ফোন কিন্তু আসেনি। আমাদের সাপ্লাই অফিসেও কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। কোনও কল ডকেট হয়নি বা কেউ ফোনও করেনি। নিঃসন্দেহে এটা একটা মর্মান্তিক ঘটনা। আমাদের যা নিয়ম আছে সেই মেনেই যা করার করা হবে।”
মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রদীপকুমার পাত্র বলেন, “এমন ঘটনায় বলার কোনও ভাষা নেই। এটা একটা দুর্ঘটনা। শুক্রবার দুলাল কর গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটতে যান মাঠে। তার পড়ে আছে তা তিনি বুঝতে পারেননি। ঘাস কাটতে কাটতে তারের সংস্পর্শে আসেন। তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বলে শুনলাম। ছেলে বিষ্ণুপদ বাজারে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে শোনেন বাবা বাড়ি ফেরেননি। মাঠে গিয়েছে। ছেলে টর্চ নিয়ে বাবাকে খুঁজতে বেরোন। এসে দেখে বাবা বসে। বাবাকে তুলতে গিয়ে তিনিও তড়িদাহত হন। বাগদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।”