পশ্চিম মেদিনীপুর: কয়েকদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। নাম জড়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের ধর্ষণ নাবালিকাকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে নাবালিকাকে ধর্ষণ, তারপর গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁকে ভ্রুণ হত্যার জন্য চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ। পরে পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে একরত্তিকেও মেরে ফেলার জন্য চাপ। অমানবিক এমনই ছবি দেখল মেদিনীপুর শহর। লিখিত অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
মাস কয়েক আগে মেদিনীপুর শহরের কুইককোটায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শাসকদল ঘনিষ্ঠ অভিযুক্তের হুমকিতে একরকম চুপ করে যায় নির্যাতিতা ও তার পরিবার। এরপর মাসখানেক আগে নির্যাতিতা অসুস্থ বোধ করায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান গর্ভবতী ওই নাবালিকা। তখন থেকেই ভ্রুণ নষ্ট করার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ।
তবে কোনও রকম বাধার কাছে মাথা না ঝুঁকিয়ে সন্তান ভূমিষ্ঠ করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্যাতিতা। চলতি মাসের ১৪ তারিখ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় সে। অভিযোগ, তবে সেই নবজাতককে প্রাণে মারার ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে অভিযুক্ত। এবার আর দমে না রীতিমত মেদিনীপুর মহিলা পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(১), ৩৭৬ (২), ৫০৯, ৩৪ ও পক্সো ধারায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়েই সঙ্গে-সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। সোমবারই ধৃতকে তোলা হচ্ছে মেদিনীপুর আদালতে। অন্যদিকে নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্টও করা হয় এদিন।
আরও পড়ুন: Pingla Disabled woman Harassment: তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ