
পশ্চিম মেদিনীপুর: শনির সন্ধ্যায় এসএসসির প্রকাশিত তালিকায় তিনিও ‘বিরাজমান’। জ্বলজ্বল করছে নাম। অজয় মাঝি। রোল নম্বর ৪২২১১৬৭৫০০৭৫৬৭। তবে ‘দাগি’ শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অন্তর্গত জলচক অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিও। তবে কি রাজনৈতিক পরিচয়ই পূর্বে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তার হাতে বিশেষ ‘ডিভিডেন্ড’ তুলে দিয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তর এখন অনেকের কাছেই হয়তো স্পষ্ট।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন মেনেই চিহ্নিত অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। যাতে উঠে এসেছে মোট ১ হাজার ৮০৪ জনের নাম। গোটা তালিকার অনেকটা অংশ জুড়েই রয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলর, বিধায়কের স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের নাম। আর তাদের মাঝেই রয়েছেন অজয় মাঝিও।
এদিন এই তালিকা প্রকাশের পর ওই ‘দাগি’ শিক্ষক অজয় মাঝিকে ফোন করা হয় টিভি৯ বাংলা তরফে। তিনি ফোন ধরেন, কিন্তু কোনও প্রশ্ন করার আগেই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সাফ জানিয়ে দেন, “এখন এই ব্যাপারে কোনও কিছু বলতে চাই না।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ‘দাগি’ অযোগ্য সবংয়ের মোহাড় ব্রম্ভময়ী হাইস্কুলে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর থেকেই আর স্কুল মুখো হতে দেখা যায়নি তাকে।
তবে এই তালিকা প্রকাশের পরেও শাস্তি আদতেই কারা পেল, সেই প্রশ্নটাই তুলে দিয়েছেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা। মেহবুব মণ্ডল বলেন, “এখন তো সব পরিষ্কার। কারা চাল, কারা কাঁকড়, সবই প্রকাশ্য়ে। কিন্তু তারপরেও শাস্তি আমরা পাচ্ছি। যারা চাকরি চুরি করেছে, তাদের সঙ্গে আমাদেরকে একই বাটখারায় মাপা হয়েছে। আমরা বিচার পাইনি। অপরাধী চিহ্নিত হওয়ার পরেও কীভাবে নির্দোষরা সাজা পাচ্ছেন?”