West Midnapur School: গত ২ বছরে স্কুলে বাসা বেঁধেছে সেই রোগ, প্রধান শিক্ষকই বলছেন ‘তুলে দেওয়া হোক স্কুল’, কারণ ভাবাচ্ছে প্রশাসনকেও

West Midnapur School: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বামন্দা শ্রী শ্রী মা বালিকা বিদ্যানিকেতনে বর্তমানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র চার জন ছাত্রী।

West Midnapur School: গত ২ বছরে স্কুলে বাসা বেঁধেছে সেই রোগ, প্রধান শিক্ষকই বলছেন 'তুলে দেওয়া হোক স্কুল', কারণ ভাবাচ্ছে প্রশাসনকেও
পশ্চিম মেদিনীপুরে ছাত্র সংখ্যা কম সমস্যায় ভুগছে প্রাইমারি স্কুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2022 | 9:03 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: আছে বেঞ্চ-টেবিল, আছে ব্ল্যাকবোর্ড-চক ও। কিন্তু বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা খুব নগণ্য। বিদ্যালয়ের চারটে শ্রেণি, হাতে গোনা চার জন ছাত্রী। এভাবে চলছে বিদ্যালয়! ১৯৭৫ সালে স্থাপিত হলেও বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা কমতে কমতে হয়েছে চার জন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের এই জুনিয়র বিদ্যালয় এখন একাকীত্বে ভুগছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বামন্দা শ্রী শ্রী মা বালিকা বিদ্যানিকেতনে বর্তমানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র চার জন ছাত্রী। দীর্ঘ লকডাউনের পরিস্থিতি কাটিয়ে অবশেষে কয়েক মাস হল খুলেছে স্কুল। করোনা পরিস্থিতির আগে যাওবা ছাত্রী ছিল, এখন সেই সংখ্যাটা মাত্র ৪। প্রত্যেকদিন সময় করেই বিদ্যালয়ে আসেন দু’জন শিক্ষিকা এবং দু’জন শিক্ষাকর্মী।তবে পছন্দমতোই বিদ্যালয়ে আসে চার জন ছাত্রী। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে একজন এবং সপ্তম শ্রেণিতে দুজন ছাত্রী নিয়ে চলছে  বিদ্যালয়।

বিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে মালযমুনা কালীপ্রসন্ন স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। এটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে অন্য একটি মাধ্যমিক স্কুল। পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুল হওয়াতে জুনিয়র স্কুলে পড়া ও পড়ানোর প্রবণতা কমছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।

শিক্ষিকার বক্তব্য, “বিদ্যালয়ের ছাত্রী আসুক এবং গমগম করুক বিদ্যালয়।” অন্যদিকে অভিভাবকদের দাবি, এই জুনিয়র স্কুলটিকে উন্নীত করে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নিয়ে গেলে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়বে। পাশাপাশি একটি ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল চালু করারও দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এখন এই স্কুলের এত বড় বিল্ডিং এবং বেঞ্চ,টেবিল, শ্রেণিকক্ষ থাকে নিঃসঙ্গতায়। দাঁতন বিধানসভার বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধানের মত, জুনিয়র হাইস্কুলকে তুলে দেওয়া হোক। কিংবা পার্শ্ববর্তী মালযমুনা স্কুলের সঙ্গে যুক্ত করে এটাকে কাজে লাগানো হোক। কবে স্কুল পড়ুয়াদের কলরবে মুখর হয়ে উঠবে, সেই দিকে তাকিয়ে শিক্ষকরাও।

আরও পড়ুন: Memari Crime News: ফোন করে ডেকেছিলেন প্রেমিকা, উঠোনেই বাড়ির ছেলেকে এমন অবস্থায় দেখবেন কল্পনাও করতে পারেননি বাবা-মা!

আরও পড়ুন:  Madhyamik Examination 2022: মাধ্যমিকে টুকলি করতে দেননি শিক্ষকরা, তা বলে মাঝরাতে এমন কাণ্ড! ভয়ে কাঁটা প্রধান শিক্ষকই