Mamata Banerjee On Sacked Teacher: ‘কে যোগ্য আর কে অযোগ্য, সেই তালিকা দিয়ে আপনাদের হবেটা কী? বেতন তো পাচ্ছেন’, আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের পাল্টা প্রশ্ন মমতার
Mamata Banerjee On Sacked Teacher: মমতা বললেন, "আমি কাল সন্ধ্যা থেকে কমপক্ষে ১০ বার ফোনে কথা বলেছি। আমি কলকাতায় থাকলে হয়তো এক সেকেন্ডে বিষয়টা মিটিয়ে দিতাম। আমি রাত বারোটা পর্যন্তও কথা বলে দেখেছি, কেউ কেউ জেদি হয়ে রয়েছেন, যে যোগ্য অযোগ্য তালিকা বার করতে হবে।"

গোয়ালতোড়: যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে এসএসসি দফতরের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারারা। মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের কর্মস্থলে ফেরার আর্জি জানান। বলেন, “কেন গরমে বসে আছেন?” আন্দোলনকারী চাকরিহারাদের উদ্দেশেই মুখ্যমন্ত্রীর আরও প্রশ্ন, “কে যোগ্য, আর কে অযোগ্য, সেই তালিকা দিয়ে আপনাদের হবেটা কী?”
গোয়ালতোড় থেকে ঠিক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
মমতা বললেন, “আমি কাল সন্ধ্যা থেকে কমপক্ষে ১০ বার ফোনে কথা বলেছি। আমি কলকাতায় থাকলে হয়তো এক সেকেন্ডে বিষয়টা মিটিয়ে দিতাম। আমি রাত বারোটা পর্যন্তও কথা বলে দেখেছি, কেউ কেউ জেদি হয়ে রয়েছেন, যে যোগ্য অযোগ্য তালিকা বার করতে হবে।” এরপরই আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, “আপনার কী যায় আসে, এই তালিকায়! কারোর কথায় কেন পা দিচ্ছেন? কে যোগ্য, কে অযোগ্য, তা দেখার তো আপনার প্রয়োজন নেই। এটা দেখার জন্য রাজ্য সরকার রয়েছে। আদালত রয়েছে। এভিডেন্স নেব। তালিকার প্রয়োজন নেই। চাকরিটা আছে নাকি, বেতন পাচ্ছেন নাকি, সেটা দেখার দরকার আপনার। বাকিটা আমাদের ওপর ছেড়ে দিন।”
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে মমতার পরামর্শ, “শিক্ষক শিক্ষিকারা যাঁরা বসে রয়েছেন, তাঁরা কেন বসে রয়েছেন, কষ্ট করে এই গরমের মধ্যে? আপনারা স্কুলে যান।” চাকরিহারাদের বেতনও সুনিশ্চিত করে মমতা বলেন, “আপনাদের বেতন নিয়ে ভাবতে হবে না। আইনের মধ্যে থেকেই রাজ্য আপনাদের কাজ করে দেবে। আপনি এ না বি, সেটা আদালত ঠিক করবে, আমরা নই। কিন্তু মনে রাখতে চাকরিতে ফিরে যান। বেতন কিন্তু রাজ্য সরকারই দেবে।”
এই সূত্রেই বিরোধীদের নিশানা করেছেন মমতা। তিনি বলেন, “বাংলায় কয়েকটা লোক বসে আছে, চাকরি খাওয়ার জন্য। জনগণের কাজ করে না। কেবল কোর্টে গিয়ে পিল (পিআইএল বা জনস্বার্থ মামলা) করে। এর জন্য কোর্ট দায়ী নয়। আমরা চাকরি দেব আর ওরা চাকরি খাবে। রাজনীতি করতে গেলে শুধু দানবিক মুখ? মানবিক মুখটা কোথায় যাবে?”
