Ghatal: ‘প্রেমিকের’ বাড়িতে হট্টগোল-চুলোচুলি, পুলিশ আসতেই মহিলা বললেন…
Ghatal: টাকা-পয়সা নিয়ে ওই মহিলা ও যুবকের মধ্যে অনেকদিন ধরে ঝামেলা চলছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিন আচমকা ওই মহিলা যুবকের বাড়িতে আসেন। যুবকের পরিবারের দাবি, এদিন বাড়িতে এসেই যুবকের মা ও বাড়ি অন্যদের মারধর করেন মহিলা।

ঘাটাল: প্রেমিকের বাড়িতে এসে হট্টগোল। হাতাহাতি। চুলোচুলি। প্রেমিকের মাকে মারধরের অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে। আবার মহিলার অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। গন্ডগোলের পর মহিলাকে ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে রাখে প্রেমিকের পরিবার। শেষপর্যন্ত পুলিশ এসে মহিলাকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূতা গ্রামের। দুই পক্ষই দাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গিয়েছে, ভূতা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ওই মহিলার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। পরে মহিলার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায়। তারপরও তাঁদের সম্পর্ক রয়ে যায়। যুবকের দাদার অভিযোগ, মহিলা বিভিন্ন সময় তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিতেন। তাঁরা ভাইয়ের সঙ্গে মহিলার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন মহিলা বিবাহিত।
টাকা-পয়সা নিয়ে ওই মহিলা ও যুবকের মধ্যে অনেকদিন ধরে ঝামেলা চলছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিন আচমকা ওই মহিলা যুবকের বাড়িতে আসেন। যুবকের পরিবারের দাবি, এদিন বাড়িতে এসেই যুবকের মা ও বাড়ি অন্যদের মারধর করেন মহিলা। যুবকের মা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
অন্যদিকে, যুবকের পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে মহিলা বলেন, “বছর পাঁচেক আগে আমি ওকে সোনা দিয়েছিলাম। টাকা ধার চেয়েছিল। তখন আমার কাছে টাকা ছিল না। তাই সোনা দিয়েছিলাম। অনেকবার টাকা চেয়েছি। দেয়নি। আমার মেয়ের পড়াশোনার জন্য এখন টাকা দরকার। তাই বাধ্য হয়ে আজ ওদের বাড়ি এসেছি। আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পেটে লাথি মেরেছে। ওর মাও মেরেছিলেন। ওর মা পিছন থেকে মারছিলেন। তখন আমি ঘুরে হাতটা সরাতেই তাঁর লেগে যায়।” সোনার গয়না দেওয়া নিয়ে কোনও কাগজ অবশ্য তাঁর কাছে নেই বলে জানান ওই মহিলা। বলেন, তখন কোনও কাগজ লেখা হয়নি। এই নিয়ে ওই যুবকের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দাসপুর থানায় ওই মহিলা ও যুবকের পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে। দুই পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

