Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বাড়াবাড়ি করলেই…’ সালিশি সভার পরেই অপমানে গলায় ফাঁস তৃণমূল কর্মীর!

Crime: স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃত কাকলির সঙ্গে তৃণমূলের বুথ সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলার বাড়িতে অশোক নিয়মিত যাতায়াতও করতেন।

'বাড়াবাড়ি করলেই...' সালিশি সভার পরেই অপমানে গলায় ফাঁস তৃণমূল কর্মীর!
মৃতা তৃণমূল কর্মী, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2021 | 12:23 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: সালিশি সভার পরেই নিজের ঘরেই মহিলা তৃণমূল (TMC) কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। অপমানেই আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা বলে অনুমান স্থানীয়দের। ঘটনাটি ঘটেছে গড়বেতা থানার চন্দ্রকোনা রোডের  অন্তর্গত নতুন পাড়ায়। জানা গিয়েছে মৃতা তৃণমূলকর্মীর নাম কাকলি চৌধুরী। পরকীয়া সম্পর্কের জেরে মৃত্যু বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃত কাকলির সঙ্গে তৃণমূলের বুথ সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলার বাড়িতে অশোক নিয়মিত যাতায়াতও করতেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১৪ অগস্ট কাকলির বাড়িতে এসেছিলেন অশোক। সেইসময়ে বাড়ির মধ্যে অশোকের সঙ্গে কাকলিকে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসীরা দেখে ফেলেন বলে অভিযোগ। এরপরেই ঘর থেকে টেনে বের করে এনে তৃণমূল বুথ সভাপতি ও  ওই মহিলাকে বের করে এনে মারধর করেন এলাকাবাসী। গত মঙ্গলবার একটি সালিশি সভাও করা হয়। ভবিষ্যতে আর এমন আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকিও দেন গ্রামবাসীরা। এরপরেই বুধবার রাতে নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন কাকলি।

যদিও, তৃণমূলের (TMC) তরফে ব্লক সভাপতি রাজীব ঘোষ বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মসূচির জন্য রসকুণ্ডায় বেশ কয়েকজন কর্মী গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মহিলাও ছিলেন। ওই দলেই ছিলেন কাকলি। সেইসময় বিজেপি আশ্রিত এক দুষ্কৃতী কাকলির বাড়িতে হামলা করে ও তাঁর নাতনীর উপর চড়াও হয়ে অশালীন আচরণ করার চেষ্টা করে। সেইটাই দেখতে পান গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে বের করে এনে মারধর করা হয়। নাতনির উপর এই শারীরিক নির্যাতনের অপমান সঙ্গে গ্রামবাসীদের হুমকি  সহ্য় করতে না পেরেই আত্মঘাতী হন  ওই মহিলা।”

পাল্টা, গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারির কথায়, “তৃণমূলের তরফ থেকে যা অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং, ওই মহিলা তৃণমূল কর্মীর সঙ্গেই তৃণমূল বুথ সভাপতির সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা।” ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় চন্দ্রকোণা বিট রোড থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের রায়কে ‘স্বাগত’, তবু বিপদের সিঁদুরে মেঘ দেখছে পদ্ম