জলপাইগুড়ি : হঠাৎ ব্রেক কষল, তারপর সব জিনিসপত্র এদিক ওদিক হয়ে গেল। ট্রেন থেকে কোনও ক্রমে নামতে পারলেও আতঙ্ক কাটছে না অভিশপ্ত ওই ট্রেনের যাত্রী পূজা ভার্মার। জয়পুর থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে আচমকা দুর্ঘটনার মুখে পড়ে সেই ট্রেন। অনেকেই আটকে পড়েন ভিতরে। তবে বেশ কয়েকজন যাত্রী বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। প্রাথমিকভাবে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন স্থানীয়রা। তাঁদের চেষ্টায় অনেকেই রেহাই পান।
পূজা ভার্মা নামে এই যাত্রী সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর মুখোমুখি হয়ে বলেন, ট্রেন চলছিল। হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেন ব্রেক কষে। তারপর সব জিনিসপত্র উল্টে পড়ে যায়। একটা বগি আর একটা বগির ওপর উঠে যায়। অনেকেই বগির নীচে আটকে পড়েছে। অনেকেই মারা গিয়েছে, অনেকের হাত-পা ভেঙে গিয়েছে।
তবে ঠিক কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তা বলতে পারছেন না পূজা। তিনি জানান, ‘একেকটা বগিতে ২০-২৫ জন করে ছিল। অনেকেই আহত হয়েছে। কেউ কেউ বেরিয়ে এসেছে। বাকিদের কী অবস্থা জানি না।’
ইতিমধ্যেই এনডিআরএফের টিম উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। গ্যাস কাটার দিয়ে বগি কেটে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। কামরার ভিতর এখনও পড়ে রয়েছে যাত্রীদের ব্যবহার করার জিনিসপত্র। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন বহু যাত্রী। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের আধিকারিকরা, দমকল বাহিনী। চলছে হয়েছে উদ্ধারের কাজ। রাতেই পৌঁছবেন রেলমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর এই রেল দুর্ঘটনায় ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। কোচবিহার থেকে ১৬ টি অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার ও নার্সদের একটি দল ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, কুড়ি জন পুলিশের একটি দল শুকনো খাবারের প্যাকেট সহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ময়নাগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও ওই দলে রয়েছেন ।