বাসন্তী: ভোটের মুখে গার্ডেনরিচের ঘটনা নিয়ে শোরগোল চলছেই। ঝরে গিয়েছে তরতাজা ১২ প্রাণ। অবৈধ নির্মাণ ও জলাশয় ভরাটের ক্ষেত্রেও কড়া বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তারপরেও পরিস্থিতি বদলাচ্ছে কী? অভিযোগ, সুন্দরবনের বাসন্তীজুড়ে প্রকাশ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে পুকুর, জলাশয়, নয়ানজুলি। এদিকে প্রায়শই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে সুন্দরবনের বিস্তৃর্ণ এলাকা। ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলচ্ছ্বাসে বিপর্যস্ত হয় সুন্দরবনের বাসন্তী, গোসাবা, ক্যানিং, কুলতলি,রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, সাগর, নামখানা এলাকা। এই এলাকাগুলিতেই এবার বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ সামনে আসতে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তার পাশের একের পর এক বড় বড় পুকুর, জলাশয়, নয়ানজুলি বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। রাতারাতি গড়ে উঠছে বড় বড় বাড়ি। অভিযোগ, সব দেখেও মুখে কুলুপ প্রশাসনের। সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।
বাসন্তী থানার উল্টোদিকে রাস্তার পাশে একটি বেআইনি ভরাটের ছবি তুলতে গেলে বাধার মুখে পড়ে টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিরা। বাসন্তী থানা লাগোয়া এবং শিবগঞ্জ ও কুলতলি এলাকায় চলছে এই ধরনের বেআইনিভাবে পুকুর, জলাশয় ভরাটের কাজ। তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূল পরিচালিত বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত সড়ক বিভাগের কর্মাঅধ্যক্ষ রাজা গাজি বলছেন, সুনিদৃষ্ট অভিযোগ পেলে বেআইনি ভরাটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনমাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনায় আক্রমণ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। জেলা বিজেপি নেতা সঞ্জয় নায়েক বলছেন, “এই ছবি শুধু গার্ডেনরিচের নয়। এটা গোটা বাংলার ছবি। গোটা সুন্দরবনে হাজার হাজার পুকুর, হাজার হাজার জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। নদীতে বাঁধ দিয়ে কাজ চলছে। ম্যানগ্রোফ কেটে ফেলা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে জমি। সবটাই হচ্ছে প্রশাসনের মদতে। গোসাবা থেকে ক্যানিং, সব জায়গায় কাটমানির খেলা চলছে। প্রতি ব্লকে তৃণমূলের ডাকাতরা এই কাজ করে চলেছে। ওরা সম্ভব হলে গঙ্গা ভরাট করে সিন্ডিকেট রাজ চালাত।” বিজেপির পাশাপাশি সুর চড়িয়েছে বাম-আইএসএফ-ও।