
ঢাকের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। আর সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো। বাংলা-জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। তারই মাঝে জেলায় জেলায় ঘুরছে পুজোয় পালসের ট্যাবলো। গোটা বাংলা ঘুরে এবার উত্তরবঙ্গতে পৌঁছে গেল পুজোয় পালস।

ইতিমধ্য়েই জলপাইগুড়িতে পৌঁছে গিয়েছে পুজোয় পালসের ক্যান্টার। ডেকে নিয়েছে এলাকাবাসীদের। ক্যান্টারের ঢাকের বাদ্যির সঙ্গে তাল মেলাতে জড়ো হয়েছেন শতাধিক মানুষ

আর শুধুই কি জলপাইগুড়ি। যখন একটি ক্যান্টার ঘুরে বেড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। তখন অন্য আরও একটি ক্যান্টার ঘুরে বেড়াচ্ছে 'লাল মাটির সরানে'। ঘুরছে পুরুলিয়া। ছড়িয়ে দিচ্ছে পুজোর আমেজ।

জানেন জলপাইগুড়িতে কোথায় ঘুরেছে ক্যান্টার। সংস্থা তরফে জানা গিয়েছে, বুধবারই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল পুজোয় পালসের ক্যান্টারটি। তারপর তা ঘুরেছে দুই জায়গায়।

জলপাইগুড়িতে প্রথমে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত থেকে এসি কলেজের সামনে। তারপর সেখান থেকে সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিল গান্ধী মোড়, পিডি কলেজে রোডে। সেখানে বিকাল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত ছিল ক্যান্টার।

কিন্তু পুরুলিয়া, ওই লাল মাটির সরানে কীভাবে পুজোর আমেজ ছড়াল পুজোয় পালসের ক্যান্টার? জানা গিয়েছে সেখানে দুই জায়গা গিয়েছিল ক্যান্টারটি।

সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ছিল বিশাল মেগা মার্টের সামনে। এরপরে তা চলে যাবে ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড পুরুলিয়া ও স্পনসর্ড টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এলাকায়। ছিল বিকাল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত।

পালস খেয়ে মানুষ কী বলছেন? এক ভদ্রলোক বললেন, 'পালস তো খেলাম। আবার এখানে একটা খেলা খেলাচ্ছে ওটাও বেশ ভাল।' অন্য আরেক জন বললেন, 'ছোট থেকে বড় সবাই খুব ভালবাসে। আমার মেয়ে তো পালস খেতে ভীষণ ভালবাসে।'

আরেক জন আবার পালসের খেলা খেলে বেশ খুশি। তাঁর কথায়, 'এখানে তো অনেক খেলা খেলাচ্ছে। গোল তো মূল্য, ভ্য়ালু। ওদের একজন বললেন, ক্যান্টারে চকোলেট কত রয়েছে অনুমান করতে পারলে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। এটাই তো মূল্য।'

এক কথায় পালসের গোলমোল কেড়েছে মন। কিন্তু গোল-কা-মোল, আসল মানে জানেন? দুর্গাপুজোয় প্রতিটি গোল জিনিসই এক একটা গল্প বলার ক্ষমতা রাখে। এই যেমন দুর্গা প্রতিমার কপালের টিপ কিংবা ফুল রাখার পাত্র। দিনশেষে সবগুলোই গোল। আর শুধু তাই নয়। কপালের জ্যোতি, ঢাকের আকৃতি, ধুনুচি, রসগোল্লা সবই গোল। আর এই প্রতিটির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বাঙালি তথা বাংলা আবেগ ও ঐতিহ্য।