Galsi Makar Mela: করোনার থাবায় বন্ধ গলসির ঐতিহ্যবাহী ৬২ বছরের পুরোনো মেলা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 14, 2022 | 10:06 PM

Makar Sankranti 2022: বন্ধ হয়ে গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসির ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জুঁজুটির ৬২ বছরের পুরনো এই মকরমেলা। করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউ গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও থাবা বসিয়েছে।

Galsi Makar Mela: করোনার থাবায় বন্ধ গলসির ঐতিহ্যবাহী ৬২ বছরের পুরোনো মেলা
বন্ধ গলসির মকর মেলা (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

গলসি: করোনার তৃতীয় ঢেউ এবার থাবা বসাল বর্ধমানের গলসির ঐতিহ্যবাহী মকরমেলার উপরেও। বন্ধ হয়ে গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসির ভূঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের জুঁজুটির ৬২ বছরের পুরনো এই মকরমেলা। করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউ গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও থাবা বসিয়েছে। বরং বলা যেতে পারে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ের রাজ্যের বুকেই আছড়ে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। যার প্রভাব পড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন মেলার উপরও। যদি হাইকোর্টের নির্দেশে করোনাবিধি এবং অতিরিক্ত কিছু শর্ত মেনে চলছে গঙ্গা সাগর মেলা  (Gangasagar Mela)।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে দামোদর নদ সংলগ্ন এলাকায় এখন একরকম প্রায় জনশূন্যই বলা চলে। প্রতি বছরই মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে ভিড় দেখা যায় দামোদরের তীরে। সেই ভিড়ে কথা মাথায় রেখেই ৬২ বছর আগে এই মেলার সূচনা হয়েছিল। তবে এদিন মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে এলাকার বেশকিছু মানুষকে দেখা গিয়েছে এই নদে পূণ্যস্নান করতে। ধর্মীয় রীতি মেনেই কিছু মানুষ ওই স্নান করতে আসেন।

মকরমেলা বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে মেলা কমিটির সদস্য সুকুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ৬২ বছর ধরে তাঁরা এই মেলা চালাচ্ছেন। তাঁর বাপ ঠাকুরদা ওই মেলার সূচনা করেছিলেন। তিনি বলেন, মকরস্নান করতে পার্শ্ববর্তী বহু গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ দামোদর নদের জুঁজুটির ফেরিঘাটে আসতেন। মানু‌ষের উন্মাদনাকে ঘিরেই তাঁরা সাত আটদিন ধরে ওই মেলা করতেন। পাশাপাশি এই মেলায় পূণ্যার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য যাত্রা সহ বেশকিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হতো। তবে এবছরে করোনার জন্য তারা ওই মেলা বন্ধ করেছেন।

অন্যদিকে ভুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুবোধ ঘোষের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, করোনার জন্য এবছর  মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কিছু মানুষ স্নান করতে আসছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষকে সুস্থ রাখতে তিনি এদিন একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছেন করেছেন দামোদরের নদ সংলগ্ন ওই মেলা প্রাঙ্গণে। যেখানে এদিন তারা ভুঁড়ি পঞ্চায়েত সহ ভিন জায়গা থেকে আগত পূণ্যার্থীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ও মিষ্টি বিতরণ করছেন।

সুবোধবাবু আরও জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ রুখতে তারা মেলার বহু দোকানদারকে আসতে নিষেধ করেছেন। তবে পুজার্চনার জন্য তাঁদের তরফে পুলিশ প্রশাসনকে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গলসি থানার পুলিশও সাধারণ মানুষকে সচেতন করছে। এদিন দামোদর নদে পূণ্যস্নানে আসা শুক্লা বিশ্বাস ও রাখী গঙ্গুলী জানান, করোনার জন্য ভয়ে ভয়ে তারা দামোদরে স্নান করে জল নিয়ে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। তবে এবারে মেলা না হওয়ায় তাদের আনন্দে খানিকটা ভাঁটা পড়েছে। তবে তাঁদের আশা আগামী বছর পরিবেশ স্বাভাবিক হলে তাঁদের আনন্দ কিছুটা ফিরে আসবে। এদিন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতের তরফে সচেতনতা শিবিরে এসে জনগনকে সচেতন করেন গলসি থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধক্ষ্য সুজন মন্ডল এবং বিধায়ক নবীন বাগ।

আরও পড়ুন : Accident in Airport: কলকাতা বিমানবন্দরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ট্রাক্টর উল্টে মৃত চালক

Next Article