
কাটোয়া: এসআইআর প্রক্রিয়ায় চাপের অভিযোগ তুলে একদিকে সরব বিএলও-দের একাংশ। আবার একাধিক বিএলও-র আত্মহত্যায় কাজের চাপের অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা বেড়েছে। এই আবহে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ৬ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন এক বিএলও। বাড়িতে কিছু না জানিয়েই ‘উধাও’ হয়ে যান। চিন্তায় পড়ে পরিবার। নিখোঁজ ডায়েরি করে। এসআইআর-র কাজের চাপেই ওই বিএলও উধাও হয়ে গেলেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠে। অবশেষে অমিত কুমার মণ্ডল নামে ওই বিএলও-কে ওড়িশার পুরী থেকে উদ্ধার করল পুলিশ।
সোমবার পুরী থেকে ওই বিএলও-কে কাটোয়ায় আনে পুলিশ। কিন্তু, হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন কেন তিনি? এই নিয়ে প্রথমে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাইছিলেন না বিএলও অমিত কুমার মণ্ডল। তারপর তিনি বলেন, “বেড়াতে গিয়েছিলাম।” কোথায় গিয়েছিলেন জানতে চাওয়া হলে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। শুধু বললেন, “একটু বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আর কিছু নয়।” বাড়িতে না বলে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “বাড়িতে কাউকে কিছু বলে যাইনি। একটু মানসিক হতাশা ছিল।” এসআইআর-র কাজের চাপেই কি তিনি বেড়াতে চলে যান? ওই বিএলও বলেন, “না, না। এসআইআর-র কাজের চাপে নয়। এমনি গিয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “আমাকে পুলিশ ধরে আনেনি। আমি ফোন করেছিলাম। পুলিশ গিয়েছিল।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএলও অমিত কুমারের বাড়িতে পুরীর নম্বর থেকে একটি ফোন আসে।পরিবার সেই নম্বর পুলিশকে জানায়। তারপর পুলিশ পুরীর উদ্দেশে গতকাল রওনা দিয়েছিল। রাতে সমুদ্রের ধার থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে আচমকা উধাও হয়ে যান পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ওই বিএলও। তাঁর খোঁজ না পেয়ে কাটোয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল পরিবার। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামে। BLO-কে খোঁজার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় কমিশনের তরফেও। তাঁর বাড়ি থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয় বলেও জানা গিয়েছে। তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন। আর্থিক কারণে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান বলে অনুমান। যদি এদিন ওই বিএলও জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে না জানিয়ে চলে যাওয়ার পিছনে আর্থিক কোনও বিষয় নেই। জানা গিয়েছে, ২৩ তারিখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ২ দিন কলকাতায় ছিলেন ওই বিএলও। তারপর পুরী গিয়েছিলেন।