AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murder: ছেলেকে খুনের অভিযোগ, পুলিশের গাড়িতে উঠে বাবা শুধু বললেন, ‘আমি আর পারছি না’

Murder: ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সূত্রের খবর, ছেলে প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরত। তা নিয়ে বাবার সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত। সেই থেকেই কি এই খুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Murder: ছেলেকে খুনের অভিযোগ, পুলিশের গাড়িতে উঠে বাবা শুধু বললেন, ‘আমি আর পারছি না’
নূর আলি শেখImage Credit: TV-9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2024 | 7:10 PM
Share

মন্তেশ্বর: ছেলেকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বাবা। চাঞ্চল্যকর ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের কালনার মন্তেশ্বরের মূলগ্রামে। মৃতের নাম নূর আলম শেখ। বয়স ২৪। এদিন নিজের ঘর থেকেই তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ও শরীরের আরও নানা অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনায় গ্রেফতার নূর আলমের বাবা নূর আলি শেখ। ঘটনায় চাপা উত্তেজনা এলাকায়। আত্মীয়দের দাবি, শুরুতে ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করেনি বাবা। উল্টে বলা হয় বাইরে কোথাও ঝামেলার কারণেই এই অবস্থা। তবে ক্যামেরার সামনে নূর আলি শেখ বলেন, সকাল থেকে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার তো একটাই ছেলে। হাতজোড় করছি আপনাদের কাছে। আমি আর পারছি না। শেষ শুধু বললেন, লাঠি দিয়ে মেরেছি। 

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সূত্রের খবর, ছেলে প্রায়ই নেশা করে বাড়ি ফিরত। তা নিয়ে বাবার সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত। সেই থেকেই কি এই খুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নূর আলমের আত্মীয় গিয়াসউদ্দিন শেখ বলেন, “সকালেই খবরটা পাই। তারপরই ওদের বাড়িতে যাই। বাড়িতে যাওয়ার পর দেখলাম ঘরের মধ্য়ে দেহটা পড়ে আছে। মাথায় অনেক চোট রয়েছে। ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। মাথাতে কোপানোর দাগ স্পষ্ট। যদিও আমি যাওয়ার আগেই পুলিশ এসে গিয়েছিল। ওরাই দেহ নিয়ে যাওযার তোড়জোড় করছিল।”

তিনি আরও জানান, ওর পরিবারের লোকজন কিন্তু বলছিল বাইরে কোথাও মারামারি করেছে। রক্তাক্ত অবস্থাতেই বাড়ি ফিরেছিল গাড়ি নিয়ে। মাথা ঠুকে পড়ে গিয়ে ওই অবস্থা। কিন্তু, এসে তো দেখি পুলিশ ওর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে। খুনের কথা হচ্ছে। বাকি বিষয় জানি না। ও তো কলকাতাতে কাঠের কাজ করত। বাড়ি ফিরেছিল ২-৩ মাস আগে। তবে এখানেও বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কাজ করত।