AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Burdwan: ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযোগকারীকেই ধমকাচ্ছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি?

Burdwan: এমনকী অভিযোগকারীর স্বামী ও ছেলেকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ অসহযোগিতার কথা মানতে নারাজ। ওই মহিলা জানান, গত মাসে মহিলা থানায় অভিযোগ জানানোর পর রবিবার বর্ধমান থানায়ও অভিযোগ জানান।

Purba Burdwan: ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযোগকারীকেই ধমকাচ্ছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি?
প্রতীকী চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2023 | 8:43 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা। আর সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। এমনকী বর্ধমানের এক ব্লক তৃণমূল সভাপতি তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন। ওই নেতার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে জানান তাঁরা। এমনকী অভিযোগকারীর স্বামী ও ছেলেকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ অসহযোগিতার কথা মানতে নারাজ। ওই মহিলা জানান, গত মাসে মহিলা থানায় অভিযোগ জানানোর পর রবিবার বর্ধমান থানায়ও অভিযোগ জানান।

অভিযোগকারীর সঙ্গে তাঁর পাশের বাড়ির এক তৃণমূল কর্মীর জায়গা নিয়ে ঝামেলা হয়। এরপরই গত ২ জুলাই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরদিনই বর্ধমান মহিলা থানায় অভিযোগ জানান বলে দাবি তাঁর। অভিযুক্ত ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামী বলেও তাঁর দাবি। এরপরই মহিলার বাড়িতে হামলা হচ্ছে, নানা হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

বর্ধমান মহিলা থানার আইসি বনানী রায় অবশ্য জানান, মামলার তদন্ত চলছে। ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। অথচ পুলিশের তদন্তকারী অফিসার অভিযোগকারীর বাড়ি গিয়ে কাউকে পাননি। গেটে তালা ঝুলছিল। আইসি বলেন, অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে যে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, সেই নেত্রীর দাবি, সবই মিথ্যা কথা। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্ধমান থানার আইসি এবং মহিলা থানার আইসিকে এ নিয়ে তিনি জানান। তবে এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ মহম্মদ হোসেনের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই এলাকায় মহিলাদের উপর হামলা চলছে। পুলিশের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয় বলেই দাবি তাঁর। অন্যদিকে বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীররঞ্জন সাউ জানান, এর আগেও মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। ওই মহিলাকে সবরকমভাবে তাঁদের দল সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি। এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস অবশ্য বলেন, “উনি তো থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। দোষী হলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।” এরসঙ্গে দলকে যুক্ত করার কোনও কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না।