
বর্ধমান: বাংলাদেশ থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। তাঁকে সহযোগিতা করার অভিযোগে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত আওয়ামী লীগ নেতার নাম রাজু আহমেদ। বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কুশরপুর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দশ দিন ধরে ধৃত রাজু আহমেদ বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের মালিরবাগানে একটি বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। তাঁকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে সহযোগিতা করার অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বাসিন্দা সুদীপ কুমার দাস ওরফে বাপন এবং অবৈধভাবে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর মালিরবাগান এলাকার শেখ মাজেদ রহমানকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃত তিনজনকে মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে পেশ করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে সেদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলা শুরু হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁর উপরও হামলা হয় বলে দাবি করেন ধৃত রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, “আমাকে বাংলাদেশে মারধর করা হয়েছিল।” প্রাণ বাঁচাতে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে আসেন বলে জানান।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার সন্ধ্যায় বাজেপ্রতাপপুরের মালিরবাগানের একটি বাড়িতে হানা দিয়ে বাংলাদেশি রাজু আজমেদকে গ্রেফতার করে। তিনি আরও জানান, বৈধ ভিসা, পাসপোর্ট বা অন্য কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, সুদীপ কুমার দাস ওরফে বাপন তাঁকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছিলেন। মিডলম্যানের কাজ করেছিলেন তিনি। এবং শেখ মাজেদ রহমান সব জেনেও আশ্রয় দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় বর্ধমান থানায় ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৪এ/১৪সি এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৪৯ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।