Bhatar: দাম্পত্যে প্রবেশ ঘটেছিল তৃতীয় জনের, বধূ খুনের কিনারা করল পুলিশ
Bhatar: পূর্বস্থলীর শুনুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা খান্ত মাঝি। বছর কয়েক আগে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। তাদের একটি চার বছরের সন্তান রয়েছে। মনোমালিন্যের জেরে বছর দুয়েক ধরে তাঁর স্বামীর সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ ছিল না ক্ষান্তর।

বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের পালার দাসপাড়া এলাকায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা কিনারা করল ভাতার থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, স্বামী স্ত্রীর অশান্তির জেরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করে স্বামী। ধৃতের নাম বিজয় দাস। তাঁর বাড়ি ভাতারের পালার গ্রামে। নিহত গৃহবধূর নাম ক্ষান্ত মাঝি ওরফে পূজা দাস।
জানা যায়, পূর্বস্থলীর শুনুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা খান্ত মাঝি। বছর কয়েক আগে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। তাদের একটি চার বছরের সন্তান রয়েছে। মনোমালিন্যের জেরে বছর দুয়েক ধরে তাঁর স্বামীর সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ ছিল না ক্ষান্তর। হোটেলকর্মী এক বন্ধুর মারফত ক্ষান্তর সঙ্গে যোগাযোগ হয় ভাতারের পালার গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কাঁচ মিস্ত্রি বিজয় দাসের। দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক হয়।
একাধিকবার দুজনে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতেও গিয়েছিলেন। মাস আটেক আগে বিজয় ক্ষান্ত মাঝিকে ভাতারে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনের বিবাহ না হলেও স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতো দুজনে। মাঝেমধ্যেইএ দুজনের মধ্যে বাইরে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে অশান্তির ঘটনা ঘটত। সোমবারও ওই একই বিষয় নিয়ে বিজয়ের সঙ্গে অশান্তি হয় ক্ষান্তর। বচসা থেকে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। স্ত্রীকে ঘুষি লাথি মেরে নিজের হাতকে ও রক্তাক্ত করে বিজয়।
এরপরে ক্ষান্তকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বিজয়। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বিজয়। বর্ধমানের নবাহাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নিহতের বাবা এ বিষয়ে ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার ধৃতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলার রুজু করে বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ। ধৃতেকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালাবে ভাতার থানার পুলিশ।

