SIR-এর প্রবল চাপ! ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু বিএলও-র

BLO: বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দিনকয়েক আগেই। ইতিমধ্যেই একাধিক বিএলও-র বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ বাড়ি বাড়ি না গিয়ে রাস্তায় বা চায়ের দোকানেই বসে পড়ছেন। এমন অনেককেই এদিন কমিশনের তরফ থেকে শোকজ করা হয়েছে।

SIR-এর প্রবল চাপ! ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু বিএলও-র
বিএলও নমিতা হাঁসদাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 09, 2025 | 5:53 PM

বর্ধমান: এসআইআর আবহে বাংলায় একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এসআইআর-এর আতঙ্কে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছে মৃতদের পরিবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে দেখাও গিয়েছে সেই সব পরিবারের সদস্যদের। এবার এক বিএলও-র মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য পশ্চিমবঙ্গে। অভিযোগ, কাজের চাপে মৃত্যু হয়েছে বিএলও-র।

পূর্ব বর্ধমানের মেমারি চক বলরামপুরের ২৭৮ নম্বর বুথের বিএলও-র দায়িত্বে ছিলেন নমিতা হাঁসদা নামে ওই মহিলা। তিনি পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছিলেন। তাঁর পরিবারের দাবি, এসআইআর (SIR)-এর কাজ নিয়ে প্রচুর চাপ দেওয়া হচ্ছিল, তাড়াতাড়ি ফর্ম বিলির জন্য বারবার বলা হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি নমিতার স্বামী মাধব হাঁসদার।

শনিবার সন্ধ্যায় ফর্ম বিলি করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। ব্রেন স্টোক হয় তাঁর। কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি। স্বামী মাধব হাঁসদা বলেন, “খুব চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কত ফর্ম বিলি করতে হবে, তার টার্গেট বেঁধে দেওয়া হত। বিডিও অফিস থেকে বলা হত, ‘কী কাজ করছেন?’ বারবার বলেছিলাম, বেশি চাপ নেবে না।” কিন্তু তারপর মানসিক চাপ কমেনি নমিতার।

এসআইআর আবহে বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে। তবে বিএলও-র মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম। জেলাশাসক আয়েশা রানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোনে বলেন, “জেলায় তো সবাই কাজ করছে। কী হয়েছে, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা কোনও চাপ দিইনি। যাঁরা চাপ দিয়েছে, তাদের ব্যাপার। আর কটা বাড়ি, কটা পরিবার, সেটা তো আপনারা জানেন।”