
বর্ধমান: ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে দামোদর তীরবর্তী এলাকার মানুষকে মাইকিং করে সতর্ক করছে জামালপুর ব্লক প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের দামোদর তীরবর্তী এলাকায় মানুষজনের বসবাস ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে দামোদর নদীতে জলস্ফিতি বাড়ছে। তাই জামালপুর ব্লক প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
এর আগেও দেখতে পাওয়া গেছে জামালপুর ব্লকের সিয়ালি, মাঠসিয়ালি, কোরা ও মইদুপুর এলাকা ডিভিসির ছাড়া জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাই প্রশাসনের তরফ থেকে আগাম সর্তকতা নেওয়া হয়েছে এই সমস্ত এলাকাগুলিতে।
এখানে উল্লেখ্য ঝাড়খণ্ডের উচ্চ অববাহিকায় প্রবল বৃষ্টির জেরে ডিভিসি,মাইথন ও পাঞ্চেত বাঁধ থেকে বিপুল জল ছাড়া শুরু করেছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৭১,৭২৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে পূর্ব বর্ধমানের সদরঘাটে দামোদরের জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে।
দুর্গোৎসবের রেশ কাটার আগেই এই জল ছাড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ডিভিসির ছাড়া জলে পূর্ব বর্ধমান সহ একাধিক জেলায় বন্যার আশঙ্কা থাকছে। দুর্গাপুর ব্যারাজের জলস্তর ২১১.৫ ফুট। জলস্তর ২১১.৫ ফুট থাকলেও পলি জমে জল ধারণ ক্ষমতা কমেছে প্রায় চল্লিশ শতাংশ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ডিভিসির কাছে দাবি করেছেন, দামোদরের বালি তুলে জল ধারনের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। দামোদরের পলি জমে দুর্গাপুর ব্যারাজ এলাকায় চর দেখা দিচ্ছে। পলি তোলা না হলে ডিভিসি জল ছাড়লেই প্লাবিত হবে দক্ষিণবঙ্গের নিম্ন দামোদর তীরবর্তী এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী বারবার ড্রেজিং ইস্যুটিকে তুলে ধরেছেন। যদিও বাংলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকেও দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবারও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন, DVC পরিকল্পিতভাবে না জানিয়ে জল ছাড়ছে, তাতে বাংলার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। যদিও সে অভিযোগ খণ্ডন করেছে কেন্দ্র। এদিকে, টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে জলস্তর। তাই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মাঝেই প্রহর গুনছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই নীচু এলাকার বাসিন্দারা অন্যত্র সরে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।