Durgapur: DVC জল ছাড়লেই কেন বানভাসি হয় হাওড়া ও হুগলির নিম্ন দামোদরের বিস্তীর্ণ এলাকা?
DVC: মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে ৩২ হাজার ৫০০ কিউসেক হারে জল । পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে ৩৭ হাজার ৫০০ কিউসেক হারে জল। শনিবার সকাল ৭ টা থেকে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ৭৩ হাজার ৬৭৫ কিউসেক হারে জল ।

দুর্গাপুর: এই আশঙ্কাই ছিল। ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি। আর তার জেরে জল ছাড়ছে ব্যারাজগুলো। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বাড়ছে আশঙ্কা। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে রাজ্য সেচ দফতর । শনিবার সকাল সাতটা থেকে ৭৩,৬৭৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে । ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির জেরে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মিলিতভাবে ছাড়া হচ্ছে ৭০ হাজার কিউসেক জল।
মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে ৩২ হাজার ৫০০ কিউসেক হারে জল । পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে ৩৭ হাজার ৫০০ কিউসেক হারে জল। শনিবার সকাল ৭ টা থেকে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ৭৩ হাজার ৬৭৫ কিউসেক হারে জল । এছাড়াও দুর্গাপুর ব্যারাজের ক্যানালে ছাড়া হচ্ছে আরও ১ হাজার কিউসেক হারে জল। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি বাড়লে ডিভিসির ছাড়া জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
এছাড়াও এই রাজ্যের বৃষ্টির জলও নামছে দামোদরে। ফলে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া ও হুগলি জেলার দামোদর তীরবর্তী নিম্ন এলাকাগুলিতে জল ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
কেন ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭০-৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়লেই বানভাসি হয় হুগলি ও হাওড়া জেলার দামোদর নদী তীরবর্তী এলাকা। দুর্গাপুর ব্যারাজের জলস্তর ২১১.৫ ফুট। জলস্তর ২১১.৫ ফুট থাকলেও পলি জমে জল ধারণ ক্ষমতা কমেছে প্রায় চল্লিশ শতাংশ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ডিভিসির কাছে দাবি করেছেন, দামোদরের বালি তুলে জল ধারনের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। দামোদরের পলি জমে দুর্গাপুর ব্যারাজ এলাকায় চর দেখা দিচ্ছে। পলি তোলা না হলে ডিভিসি জল ছাড়লেই প্লাবিত হবে দক্ষিণবঙ্গের নিম্ন দামোদর তীরবর্তী এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী বারবার ড্রেজিং ইস্যুটিকে তুলে ধরেছেন। যদিও বাংলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকেও দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবারও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন, DVC পরিকল্পিতভাবে না জানিয়ে জল ছাড়ছে, তাতে বাংলার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। যদিও সে অভিযোগ খণ্ডন করেছে কেন্দ্র।
