Burdwan: শক্তিগড়ে দোকানে ঢুকে সোনার দোকানের মালিককে ‘গুলি’

Burdwan: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিগড়ে জোতরামের ব্যবসায়ী সদীপ দাসের সোনার দোকানে আচমকাই ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। দোকান মালিক তখন সবেমাত্র কাজকর্ম শুরু করেছিলেন।

Burdwan: শক্তিগড়ে দোকানে ঢুকে সোনার দোকানের মালিককে 'গুলি'
শক্তিগড়ে সোনার দোকানে গুলি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2023 | 2:11 PM

বর্ধমান: শক্তিগড়ে ফের চলল গুলি। সোনার দোকানে ঢুকে লুঠের চেষ্টা। বাধা পাওয়ায় দোকান মালিককে গুলি। দিনে দুপুরে শক্তিগড়ের জোতরামের একটি সোনার দোকানে গুলি চালনার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাস্থলে রয়েছে শক্তিগড় থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁর বুকের নীচে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে শক্তিগড়ের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিগড়ে জোতরামের ব্যবসায়ী সদীপ দাসের সোনার দোকানে আচমকাই ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। দোকান মালিক তখন সবেমাত্র কাজকর্ম শুরু করেছিলেন। ক্রেতা হিসাবেই তাঁরা ঢুকেছিলেন। সূত্রের খবর, বিভিন্ন গয়না দেখার অছিলায় আচমকাই পকেট থেকে বন্দুক বার করে মালিকের মাথায় ঠেকায়। তারপর ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের। দুষ্কৃতীরেরও কোমার চেপে ধরে আপ্রাণ ডাকাতি রোখার চেষ্টা চালিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। তখনই গুলি চালিয়ে দুষ্কৃতী চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।

রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। গুলির শব্দ শুনতে চেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ততক্ষণে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পূর্ব বর্ধমান ১৯ জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে শক্তিগড় থানার পুলিশ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। দোকানটি ছোট, সেক্ষেত্রে আশপাশে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। দিনেদুপুরে হঠাৎ এই ধরনের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

কিছুদিন আগেই বারাকপুরের সোনার দোকানে একই রকমের ঘটনা ঘটে। অস্ত্র হাতে ভিতরে ঢুকে লুঠের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। সোনার দোকানের মালিক ও তাঁর ছেলে বাধা দিয়েছিলেন। দুষ্কৃতীদের গুলি ফুঁড়ে যায় ছেলের শরীর। মৃত্যু হয় সোনার দোকানের মালিকের ছেলের। ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল এলাকা।