AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Child Death: ডাক্তার বলেছিলেন ‘সব ঠিক আছে’, কানের অপারেশনের পর আর ফিরল না মেয়ে

Child Death in Burdwan: শিশুর বাবা জানিয়েছেন, ওটি থেকে বের করে ওই শিশুকে আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁদের মেয়ে ঠিক আছে, জ্ঞান ফিরলেই দেখতে দেওয়া হবে। এরপর বুধবার গভীর রাতে পরিবারকে জানানো হয় মৃত্যুর খবর।

Child Death: ডাক্তার বলেছিলেন 'সব ঠিক আছে', কানের অপারেশনের পর আর ফিরল না মেয়ে
বর্ধমানে শিশু মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্যImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2023 | 8:33 AM
Share

বর্ধমান: ছোট থেকেই কানের একটা সমস্যা ছিল। বছর কয়েক ধরেই চলছিল চিকিৎসা। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বছর ৮-এর তিথি দাসের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে অস্ত্রোপচার হয় তার। তারপর আর জ্ঞান ফেরেনি। এমনকী বাবা-মা’কে দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই হঠাৎ আসে মৃত্যুর খবর। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। তিথি দাস নামে ওই শিশুর বাড়ি বর্ধমানের তালিত গ্রামে। তার মৃত্যুতে চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তাদের দাবি, অপারেশন টেবিলেই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছিল শিশুর, তাদের জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ।

৪ বছর বয়স থেকেই তিথি দাস কানের সমস্যায় ভুগছিল বলে জানিয়েছেন তার মা। কানে ব্যাথা ও জল পড়ার সমস্যা ছিল। চিকিৎসক সব রিপোর্ট দেখে অস্ত্রোপচার করতে বলেছিলেন। সেই মতো গত ২২ সেপ্টেম্বর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ২৬ তারিখে তার কানের অস্ত্রোপচার হয়। দুপুর ২ টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে চলে অস্ত্রোপচার। এরপর থেকে তাকে আর দেখতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

শিশুর বাবা জানিয়েছেন, ওটি থেকে বের করে ওই শিশুকে আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁদের মেয়ে ঠিক আছে, জ্ঞান ফিরলেই দেখতে দেওয়া হবে। এরপর বুধবার গভীর রাতে পরিবারকে জানানো হয় শিশুর মৃত্যুর খবর। পরিবারের অভিযোগ, তার সমস্ত রিপোর্ট ঠিক ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। হার্টের পরীক্ষাও হয়েছিল। তারপর কী এমন হল যে কানের অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে এভাবে মৃত্যু হল? সেই প্রশ্নই তুলছে পরিবার। অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল, ভুল চিকিৎসার জন্যই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসকদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের লোকজন হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাসপাতাল সুপার অফিসের সামনে বিক্ষোভে দেখায় বৃহস্পতিবার। পরে বর্ধমান সদর থানায় চিকিৎসকদের শাস্তির দাবিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। হাসপাতালের তরফে কেউ এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি এখনও।