AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Burdwan Murder: ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খুন ব্যবসায়ী, জোড়া তদন্তে সিআইডি-ফরেন্সিক দল

Murder Case: মান পুলিশ মর্গে দাঁড়িয়ে মৃতের বাবা দেবকুমার মণ্ডল দাবি করেন, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরেই ছেলেকে অকালে হারাতে হল।

Purba Burdwan Murder: ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খুন ব্যবসায়ী, জোড়া তদন্তে সিআইডি-ফরেন্সিক দল
ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের খুনের ঘটনায় রায়নায় পৌঁছল সিআইডি ও ফরেনসিক দল। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 6:50 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান: ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের (Businessman Murder) খুনের ঘটনায় রায়নায় পৌঁছল সিআইডি (CID) ও ফরেনসিক দল। রবিবার বিকেলে রায়নার দেরিয়াপুরে যান তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এদিন প্রথমে সিআইডির চার সদস্যের একটি দল সব্যসাচী মণ্ডলের দেরিয়াপুরের বাড়িতে যান। সেখানে থাকা পরিবারের দুই মহিলা সদস্যর সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই সেখানে পৌঁছয় ফরেনসিক টিম। তারাও ঘটনাস্থল, ওই বাড়ির সিঁড়ি, ছাদ ঘুরে দেখে। বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থলে লেগে থাকা রক্তের ছোপের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক দল।

শুক্রবার রাতে রায়নার দেরিয়াপুরে হাওড়ার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে খুনের অভিযোগ ওঠে। গ্রামের বাড়ি দেরিয়াপুরে গিয়ে নৃশংস ভাবে মরতে হয় এই ব্যবসায়ীকে। ঘটনার দিনই সব্যসাচীর বাবা দেবকুমার মণ্ডল দাবি করেন, ভাইয়েরাই সুপারি কিলার দিয়ে সব্যসাচীকে খুন করান। সব্যসাচীর বাবার দাবি, তাঁর দুই ভাইপো সুপারি কিলার লাগিয়ে তাঁর ছেলেকে খুন করিয়েছেন। খুড়তুতো দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ তোলেন দেবকুমার বাবু। এরপরই ঘটনা নতুন মোড় নেয়।

বর্তমানে সব্যসাচী মণ্ডলের পরিবার থাকেন হাওড়ার শিবপুরে। সেখানে তাঁর ত্রিপলের ব্যবসা রয়েছে। শুক্রবার সব্যসাচী মণ্ডল তাঁর বন্ধু রাজবীর সিংকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি দেরিয়াপুরে যান। রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। সেই সময় সব্যসাচী মণ্ডলের গাড়ির চালক আনন্দ সাউ তাঁকে ছাদ থেকে নীচে নিয়ে যান। আনন্দ বলেছিলেন, নীচে সব্যসাচীকে কেউ ডাকছেন। এরপরই ভয়ঙ্কর চিৎকার শুনতে পান রাজবীররা। ছুটে নেমে আসেন ছাদ থেকে। এরপরই দেখেন মাটিয়ে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত সব্যসাচীর দেহ। বন্ধু রাজবীর সিং এবং তাঁদের রান্নার লোক পার্থ সাঁতরা দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা হাওড়ার ওই ব্যবসায়ীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কুপিয়ে খুনের সঙ্গে গুলিও করা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃতের শরীরে গুলির ক্ষত রয়েছে।

ঘটনার পর পরই সব্যসাচী মণ্ডলের গাড়ির চালক ও রাঁধুনিকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। খবর পেয়ে শনিবারই সব্যসাচীর বাড়ির লোকজন রায়নায় পৌঁছন। বর্ধমান পুলিশ মর্গে দাঁড়িয়ে মৃতের বাবা দেবকুমার মণ্ডল দাবি করেন, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরেই ছেলেকে অকালে হারাতে হল। তাঁর বক্তব্য, তাঁদের পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে চরম বিবাদ রয়েছে। একটা সময় অত্যন্ত বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলছিল তা। ২০১৬ সালে মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর ভাইপোরা তাঁর ছেলেকে শ্মশানে বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ দেবকুমার মণ্ডলের। তাঁর অনুমান, দুই ভাইপো দীনবন্ধু এবং সোমনাথ সুপারি কিলার লাগিয়ে তাঁর ছেলেকে খুন করিয়েছেন।

রবিবার সিআইডির চার সদস্যের দল সব্যসাচী মণ্ডলের দেরিয়াপুরের বাড়িতে যান। দুই মহিলা সদস্যকে শুক্রবার রাতের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন। ফরেনসিক তদন্তকারীরাও গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। ওই দলের সঙ্গে ছিলেন এসডিপিও (দক্ষিণ) আমিরুল ইসলাম খান। আমিরুল ইসলাম খান বলেন, “তদন্ত চলছে। আমরা অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সমস্ত দিক খোলা রেখেই তদন্ত চলছে। কারও বিরুদ্ধে জোরাল প্রমাণ পেলে গ্রেফতার করা হবে।” পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন। তবে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না তারা। পাশাপাশি সুপারি কিলার দিয়েই যে খুন করানো হয়েছে, তার প্রমাণও জোরাল বলে জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: Eve Teasing: ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ কলকাতা মেডিক্যালের সামনে! চলল ‘গুলি’, নামানো হল র‌্যাফ